আধা চামচ হলুদ প্রতিরোধ করবে এই রোগগুলো
রান্নার অন্যতম একটি মশলা হল হলুদ। হলুদ ছাড়া রান্না প্রায়ই অসম্ভব। রান্নার এই অপরিহার্য উপাদানটির রয়েছে নানা ওষধি গুণ। নিয়মিত হলুদ শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। আসুন জেনে নিন প্রতিদিন আধা চামচ হলুদ আপনার দেহের কী কী পরিবর্তন করবে।
১. অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ
Curcumin হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান। এটি ফ্যাটি অ্যাসিড অথবা ডিএনএ খারাপ প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে। এটি এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
২. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করেঃ
বিডিএনএফ হরমোন অথবা ব্রেন-ডিরাইভড নিউরোট্রোপি মস্তিষ্কে নিউরোনের ভাগ এবং সংখ্যা বৃদ্ধিতে কাজ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। যদি খাদ্যতালিকায় হলুদ থাকে, এই হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এবং এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে, স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ
রক্তনালীর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হলুদ রক্তনালীর কার্যক্রম সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
হলুদ ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি এবং ছড়ানো বন্ধ করে। নিয়মিত আধা চামচ হলুদ গ্রহণ শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক তৈরি করে।
৫. বিষণ্ণতা দূর করে মন ভাল করেঃ
অনেক সময় কোন কারণ ছাড়াই মন বিষণ্ণ হয়ে যায়। এই বিষণ্ণতা দূর করে মনকে আবার সতেজ করতে হলুদের জুড়ি নাই। গবেষণায় বলা হয়, কারকুমিন বিভিন্ন ধরনের বিষণ্ণতা দূর করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
৬. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ
বার বার ভুলে যাচ্ছেন? সহজে কিছু মনে করতে পারছেন না। তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখুন। এটি প্রদাহ কমিয়ে স্মৃতিভ্রম রোধে সাহায্য করে। এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
৭. বাতের ব্যথা হ্রাস করতেঃ
জয়েন্টে ইনফ্লামেশন বাত ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লামেনটরি বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হলুদে উপস্থিত কারকুমিন বিভিন্ন ক্রনিক (যেসব রোগ প্রতিকার করা যায় না) রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকর।