৮০ শতাংশ বাঙালি নারী স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে !!!
বাংলাদেশ এখন স্তন ক্যান্সারের উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে প্রতি ১০ জন নারীর ৮ জনই এমন ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ তথ্যটি উঠে এসেছে ফেডারেশন অব এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব রেডিয়েশন অনকোলজি’র (এফএআরও) এক গবেষণায়।
এদেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার নারী ক্যান্সার রোগী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে লজ্জায় চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া। এদেশে প্রতি ১০ জন নারীর ৮ জনই স্তন ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই প্রতিমাসে না হলেও নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।
যেসব মেয়েদের কম বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং দেরিতে বন্ধ হয়, তাদের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যেসব মা শিশুকে স্তন পান করানো থেকে বিরত থাকেন। তারাও বেশি ঝুঁকিতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে যদি স্তনের বোটা দিয়ে দুধ না বেরিয়ে রক্ত বেরোয়। অথবা পুঁজ বা পানি বা আঠাঁল পদার্থ বের হলে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
এক সময় কলেরা, বসন্ত হলে মানুষ বাঁচত না। এখন কিন্তু মহামারী আকারে কলেরা, গুটি বসন্ত নাই। আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছি। ক্যান্সার হ্যাজ নো অ্যানসার-বলা হয়। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে ভালো হয়।
মা-বোনদের লজ্জা করলে হবে না। নিজেদের স্তন নিজেরাই যদি নিয়ম অনুযায়ী চেক করে ডাক্তারের কাছে যান, তবে সমস্যা হবে না। তাই সচেতনভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। ডাক্তার ইব্রাহীমের মাধ্যমে আমরা ডায়াবেটিস যেভাবে জয় করেছি, সেভাবেই ক্যান্সারকেও জয় করতে পারবো।
তবে, এজন্য ব্যবসায়ী, বিত্তবানদের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে। সবার সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়েই স্তন ক্যান্সারকে জয় করতে হবে।
Related Posts
Comments
comments