হাত দেখে জ্যোতিষিরা মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন। তবে ভারতীয় জ্যোতিষের একটি বিশিষ্ট শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্র। ‘সামুদ্রিক’, অর্থাৎ মুদ্রা বা লক্ষণ দেখেই বিচার হয়ে থাকে এই শাস্ত্রে। গ্রহলক্ষণ বা জন্মপত্রিকায় যাওয়ার আগে সামুদ্রিক বিচার সম্পন্ন করতেন জ্যোতিষীরা। এই সময়ে সামুদ্রিক বিদ্যার চল কমে এলেও অনেকেই আস্থা রাখেন এই পদ্ধতির উপরে।

সত্যাসত্য বিচার পরে। একটা কথা এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে প্রাঞ্জল যে, কতটা খুঁটিয়ে মানব শরীরকে লক্ষ করেছিলেন শাস্ত্রকাররা, তা বোঝা যায় এই ‘বিচার’ গুলিতে।

এখানে সামুদ্রিক শাস্ত্রে উল্লিখিত একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা রাখা হল। বিষয়টি মেয়েদের পা। স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম নাকি পদপল্লবেই প্রস্ফূটিত। দেখা যাক, সামুদ্রিক জ্যোতিষ কী বলে।

* যে নারীর পায়ের পাতা নরম, মোলায়েম, উষ্ণ, হালকা গোলাপি রঙের এবং ঘামহীন, তাঁরা যৌনজীবনে সুখী। কিন্থ জীবনে দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের রয়েছে।

* যে নারীর পায়ের পাতায় শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, পতাকা বা মৎস্য চিহ্ন রয়েছে, তাঁদের রাজরানি হওয়ার যোগ রয়েছে। কিন্তু ইঁদুর, সাপ অথাবা কাক চিহ্নযুক্তাদের কপালে দারিদ্র্যযোগ রয়েছে।

* যে নারীর পায়ের নখ গোলাপি রঙের, মেলায়েম এবং কিছুটা বেরিয়ে থাকা ও গোলাকৃতি, তাঁদের জীবনে সুখ ও সম্পদ অবশ্যম্ভাবী। কালো ও ভাঙা নখের মালকিনদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা।

* যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুল ছোট, তাঁদের আয়ু কম।

* যে নারীর পায়ের পাতার তলদেশ এবড়ো-খেবড়ো, তাঁরা জটিল চরিত্রের।

* বুড়ো আঙুল আর পায়ের পাতার তলদেশের মধ্যেকার কার্ভ যদি বেশি বাঁকানো হয়, তবে ধরে নিতে হবে তাঁর আর্থিক অবস্থা সাধারণ।

* যে নারীর পায়ের আঙুল একটি উপরে আর একটি চেপে থাকে, তাঁর বৈধব্যযোগ থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে সামুদ্রিক শাস্ত্র।

* যদি কোনও নারীর পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুল মাটি স্পর্শ না করে, তাহলে তাঁর স্বামীর তাঁকে ত্যাগ করে অন্য নারী বিবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

* হাঁটার সময়ে যে নারীর পা থেকে ধুলো ছিটকোয়, তিনি পরিবারের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

* যে নারীর পায়ের বুড়ো আঙুলের থেকে পাশের আঙুলটি বড়, তিনি দাম্পত্যজীবনে সুখী।

* যে নারীর গোড়ালি দৃঢ়, তাঁকে কাঙ্ক্ষা না করাই ভাল। যে নারীর গোড়ালি উঁচু, তাঁর দুশ্চরিত্রা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।