শরীর ম্যাজ ম্যাজ করলে আমরা প্রায়ই ম্যাসাজ করাতে চলে যাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যাসাজ কোনো সাধারণ কিংবা সবার জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসা পদ্ধতি নয়।

আগে বুঝতে হবে, আদৌ আপনার ম্যাসাজ দরকার কি না। আর দরকার হলেও কী ধরনের ম্যাসাজ করাতে হবে, জানতে হবে সেটিও। এ কারণে ম্যাসাজ করানোর আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা—

১. স্বাস্থ্যের অবস্থা : প্রথমেই বুঝতে হবে, আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন। আপনি কি স্বাস্থ্যবান? নাকি বিশেষ যত্নের দরকার রয়েছে? যদি ক্রনিক পেইন থাকে বা অস্টিওপরোসিস কিংবা আরথ্রাইটিসে ভোগেন, তবে ম্যাসাজকে সাধারণভাবে নেওয়া যাবে না। ম্যাসাজ বিশেষজ্ঞ দরকার। তিনিই বুঝবেন, আপনার শরীরের কোন অংশে কী ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ভুল হলেই বিপদ।

২. সাধারণ ও বিশেষ ম্যাসাজ : সাধারণত সেলুনে গিয়েই ম্যাসাজ করায় মানুষ। সবার জন্য সাধারণ এক ম্যাসাজ পদ্ধতি রয়েছে, যাকে আয়ুর্বেদে বলা হয় আভিয়াঙ্গা। আবার অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করেও ম্যাসাজ করা হয়। এ কাজটি পেশাদার ছাড়া অন্য কেউ করতে পারেন না। যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, তাঁদের কাছে দ্বিতীয় ম্যাসাজ করালে শরীরে ব্যথা, প্রদাহ, চুলকানি, পেশির টিস্যু ছিঁড়ে যেতে পারে।

৩. দিক ও চাপ : বুড়ো আঙুলের চাপে ম্যাসাজ করতে গেলে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এর ব্যবহারে ম্যাসাজ করতে গেলে আঙুল সেদিকেই যেতে হবে, যেদিকে যাওয়া দরকার। বুড়ো আঙুলের গতিপথ উল্টো হলে ফলাফলও পাল্টে যাবে। এর সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে চাপের দিকটা। কম্পন ও চাপের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। আদর্শমানের চাপে কেবল কম্পন সৃষ্টি হয়, অন্য কিছু নয়।

৪. খাবার ও ম্যাসাজ : দুটোর মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্যই খালি পেটে ম্যাসাজ করাতে হবে। শেষ যখন খেয়েছেন এর অন্তত ৯০ মিনিট পর ম্যাসাজ করা নিরাপদ। আবার একেবারে খালি পেটে করা যাবে না।

৫. হাইড্রেশন : দেহে যথেষ্ট পানি থাকতে হবে। তবে ইচ্ছামতো পানি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসাজ করানো ঠিক না। পানি খাওয়ার আধাঘণ্টা পর ম্যাসাজ নেওয়া যাবে।