২ দিন গোসল না করলে কী হয় শরীরে? জানলে আঁতকে উঠবেন
প্রতি দিন ভালো ভাবে গোসল করা সকলেরই অভ্যাস। কিন্তু অনেক সময়ে কাজের চাপে গোসল বাদ দিতে হয় দৈনন্দিন কাজের রুটিন থেকে। ঠান্ডার দিনেও অনেকে পর পর কয়েক দিন গোসল ছাড়াই কাটিয়ে দেন। কিন্তু এই ভাবে গোসলহীন অবস্থায় কাটানোর কী প্রভাব পড়ে শরীরে? তা হলে জেনে রাখুন, দীর্ঘ দিন গোসল না করে কাটানো তো দূরস্ত, পর পর দু’দিন গোসল না করলেই তার গুরুতর কু-প্রভাব পড়ে শরীরে। এমনটাই জানাচ্ছে, ‘টুয়েন্টি টু ওয়ার্ডস’নামের লাইফস্টাইল জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্র। ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্বলিত এই গবেষণাপত্রে জানানো হচ্ছে, পর পর দু’দিন গোসল না করলে কী ক্ষতি হয় শরীরের। আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. গোসল না করার ফলে প্রথম যে সমস্যাটি দেখা দেয়, সেটি ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত। মানবশরীরে প্রায় ১০০০ রকমের ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধে থাকে, তার মধ্যে রয়েছে ৪০ রকমের ফাঙ্গাসও। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই ব্যাকটেরিয়াই অবশ্য শরীরের পক্ষে উপকারী, কিন্তু যেগুলি ক্ষতিকর সেগুলিকে সাবানের মাধ্যমে ধুয়েই ফেলাই যুক্তিযুক্ত। গোসল না করলে শরীরে সাবানের স্পর্শ লাগে না। ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকেই যায়। সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর। পর পর দু’দিন গোসল না করলে সেই ক্ষতিকরতা বৃদ্ধি পায়।
২. এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়া যদি কোনও ভাবে আপনার নাক, কান বা মুখে চলে যায়, তা হলে আপনার অসুস্থ হয়ে পড়ার গুরুতর সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩. ব্যাকটেরিয়াই শরীরের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। গবেষণা জানাচ্ছে, শরীরে বাসা বেধে থাকা একটি ব্যাকটেরিয়া ৩০ রকমের দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস সৃষ্টি করে। কাজেই দু’দিন গোসল করলে এই দুর্গন্ধ যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
৪. পর পর দু’দিন গোসল না করার আর একটা সমস্যা হল, চামড়ার উপর একটি তৈলাক্ত আবরণ তৈরি হয়। এই আবরণ চর্মরোগের কারণ হয়। নিয়মিত গোসল করলে এই বিপদ এড়ানো যায়।
৫. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হোলি এইচ. ফিলিপস জানাচ্ছেন. ঘামে-ভেজা জামাকাপড় দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাস ঘটিত রোগের ভয় আরও বাড়ে। এর ফলে চুলকানি কিংবা র্যাশ সৃষ্টি হয় চামড়ায়। নিয়মিত গোসল না করলে এই সমস্যার পথ রোধ করা সম্ভব।
তা হলে কোনও ভাবে কোনও কারণে কি গোসল এড়ানো যাবে না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন গোসল না করা একেবারেই উচিৎ নয়। আর যদি দিন দু’য়েক কোনও কারণে গোসল না করে যদি থাকতেই হয়, তা হলেও বগল, কুচকি, এবং মুখ অবশ্যই ভাল ভাবে ধুতে হবে। আর পোশাক অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট সময় বাদে বাদে পাল্টাতে হবে। তা হলে অনেকটাই কমবে বিপদের আশঙ্কা।