১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

সাপের ম্যাসেজে ব্যথা দূর

একটা অজগর সাপ যদি আপনার গায়ের ব্যথা দূর করে দেয়, কেমন হয়? ম্যাসেস করাতে চান? ভয় পেলেন? ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-এ কিন্তু অজগরের সেবা নেন অনেকেই। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও সাপ দিয়ে ম্যাসাজ করানো হয়।

বলা হচ্ছে, অজগর দিয়ে যেভাবে ম্যাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রথমত, ম্যাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়। পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, ম্যাসাজের আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না।

অজগর কীভাবে বড় বড় প্রাণী শিকার করে? কাছাকাছি পেলে প্রথমে শিকারকে সারা শরীর দিয়ে জড়িয়ে ধরে অজগর। তারপর যত জোরে সম্ভব চেপে ধরে। বড় ভয়ঙ্কর সেই চাপ। ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সেই প্রাণী। তারপর ধীরে ধীরে প্রাণীটিকে গিলে ফেলে অজগর। তো এমন ভয়ঙ্কর এক সাপকে দিয়ে কেন মানুষের শরীর মালিশ করানো হয় বালি দ্বীপের ওই স্পায়। এর উত্তর এখনো অনেকেরই অজানা।

ম্যাসাজের সময় কোনো মানুষকে কখনোই জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা ছেড়ে দেয়া হয় না। সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন। তার কাজই হলো, অজগর কখনো থেমে যাচ্ছে কিনা, কোনো বিপদ ঘটাতে চাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা। বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা বিপদ ভালোবাসেন। অন্যরকম কিছু করে বাড়তি আনন্দ পান তারা। এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য নাকি অজগরের ম্যাসাজ আরো বেশি উপকারী। অজগর পিঠে চড়লে নাকি তাদের হরমোনের নিউট্রোট্রান্সমিটার ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

যত অভয়ই দেয়া হোক না কেন, গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই। সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার। অজগরকে কে না ভয় পায়। ম্যাসাজ শেষ হলে সেই ভয়ের জায়গায় মনে ঠাঁই নেয় এক ধরনের মুক্তির আনন্দ। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ম্যাসাজ নেয়ার আগে তারা সাপের নাম শুনলেই ভয় পেতেন। কিন্তু ম্যাসাজ নেয়ার পরে নাকি সেই ভয় কেটে গেছে।

Comments

comments