আমার স্বামী এর পেনিস অনেক বড় , আমি নিতে পারতেছি না , এখন কি করব জেনে নিন!
আমার ৯ দিন আগে বিয়ে হয়েছে। বাট আমার স্বামী এর পেনিস অনেক বড় আকৃতির। আমার মনে হয় ৭-৮ ইঞ্চি হবে। এতো বড় পেনিস আমি নিতে পারতেছি না। সত্ত্বেও আমার স্বামী জোড়াজুড়ি করে কয়েক মিলন করেছে। মিলনের সময় আমার কোনো হুঁশ ছিলনা। আর এটা কাউকে বলতেও পারছিনা। এখন আমি কি করতে পারি। একটা উপায় বলে দিলে ধন্য হবো।
উত্তর :
প্রথমে মিলনের ক্ষেত্রে সকল পুরুষেরই খেয়াল রাখা উচিৎ যে, রতিক্রিয়া যেন তাঁর সঙ্গিনী কষ্ট না পায়। এর জন্য পুরুষদের কর্তব্য হচ্ছে খুব সতর্কতার সাথে ইন্দ্রিয় সঞ্চালন করা। পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক আকার হচ্ছে ৫ বা ৬ ইঞ্চি। এর চেয়ে ছোট পুরুষাঙ্গ হলে তাতে কোনো সমস্যা নেই বরং এতে নারীর কোনো কষ্ট হয় না। কিন্তু পুরুষাঙ্গ যদি বড় হয় তাহলে এক্ষেত্রে নারীর কষ্ট হয় রতিক্রিয়া করতে। স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গ দ্বারাও কিছু দিন কষ্ট হয় পরে নারীর যোনিনালী প্রসরতা বৃদ্ধি পেলে সেটা আর থাকে। কিন্তু পুরুষাঙ্গ যদি বড় হয় সেক্ষেত্রে রতিক্রিয়া করার সময় স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
এক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় হচ্ছে তাঁর স্ত্রীকে ভালোভাবে উত্তেজিত করে নেওয়া। স্ত্রীর যখন যথেষ্ঠ উত্তেজিত হবে তখন তাঁর যোনি পথে এক ধরণের পিচ্ছিল পানি বের হবে যাকে যৌন রস বলে। এই যৌন রস বের হয়ে স্ত্রীর যোনিকে পিচ্ছিল করে দেয়। যার কারণে লিঙ্গ অনায়াসে যোনি পথে আসা যাওয়া করতে পারে।
সেক্ষেত্রে নারীর কষ্ট হয় না। প্রথম মিলন কালে স্ত্রীকে ভালো করে উত্তেজিত করে নিলে প্রথম মিলনে কষ্ট হলে স্ত্রীর কম বোধ পায়। কেননা সে উত্তেজনা বশে থাকে। যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের পূর্বে লিঙ্গের অগ্রভাগে হালকা থু থু লাগালে পিচ্ছিলতা আসবে। আবার জেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাজারে কসমেটিক্স দোকানে পাওয়া যায়। যাদের পুরুষাঙ্গ বড় সেসব স্বামীদের করণীয় হচ্ছে মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে তো ভালভাবে উত্তেজিত করবেই, এবং তাঁর সাথে স্ত্রীর যোনি লিঙ্গ আস্তে ধীরে প্রবেশ করাবে যাতে সে কম ব্যথা অনুভব করে। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর যোনিতে লিঙ্গ ৩ ইঞ্চি অথবা স্ত্রী যতটুকু সায় দেয় ততটুকু পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে।
এক্ষেত্রে কিছু আসন গ্রহণ করা যেতে, যেমন স্ত্রী চিৎ হয়ে শুয়ে থাকবে, আর স্বামী হাটু গেড়ে বসে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে। অথবা স্ত্রী পাছা উপরের দিকে দিয়ে খাটে শুয়ে থাকবে এবং স্বামী হাটু গেড়ে বসে যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে।
এখানে আরেকটি আসন আছে, স্বামী নিচে শুয়ে থাকবে এবং স্ত্রী উপরে উঠে বসে নিজের সুবিধা মতো সঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকবে। স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীর যোনি চাহিদার উপর গুরুত্ব দিতে হবে, স্ত্রীর যাতে তাঁর দ্বারা কোনো কষ্ট না পায় সেটাও স্বামীকে খেয়াল করতে হবে। যে আসনেই সঙ্গম করেন না কেনো স্বামীকে সঙ্গম চলা কালে স্ত্রীর মতামত জানতে হবে, তাঁর কাছে কেমন লাগতেছে, সে ব্যথা অনুভব করতেছে কিনা ।
স্বামীর বীর্যপাতের পূর্বে স্ত্রীর কাছে জানতে হবে তাঁর খায়েশ মিটছে কিনা। যদি স্ত্রীর খায়েশ না মেটেই স্বামীর বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে স্ত্রীরদের মনে বিষন্নতা তৈরি হয়, তাঁর মেজাজ হয়ে যায় খিটখেটে, মনে একধরণের অশান্তি অনুভব করে। যার কারণে সংসারে অশান্তি নেমে আছে। আর এটা হয় স্বামীদের যৌন মিলনে স্ত্রীদের প্রতি অসদাচারণ করার ফলে। যেমন, এই আপুর প্রতিও অসদাচারণ হচ্ছে।
প্রত্যেক স্বামী কে বুঝতে হবে আমি যেরকম মানুষ, আমার স্ত্রীও একজন মানুষ। প্রত্যেক স্বামীকে এটা বুঝতে হবে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে যা করতেছি, আমি যদি আমার স্ত্রীর জায়গায় হতাম এবং আমার স্ত্রী যদি আমার জায়গায় হতো, তাহলে সে আমার প্রতি এরকম অসদাচারণ করলে আমার কাছে কেমন লাগতো? নিশ্চয় খারাপ লাগতো। স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করে তাহলে স্ত্রীর মনে স্বামীর প্রতি ভালবাসা মায়া মহব্বত বাড়ে না বরং দিনে দিনে তা কমে যায়।
যার কারনে স্ত্রী পরপুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। আর এজন্যই মহানবী (সা.) বলেছেন, স্বামী কেমন ভালো তাঁর স্ত্রীর ভালো বলতে পারবে। স্বামী যদি সারা দুনিয়ার মানুষের সাথে ফেরেশতার মত আচরণ করে ঘরে এসে স্ত্রীর প্রতি অসদাচারণ করে তাহলে এ ভালো আচরণের আল্লাহর কাছে দাম নেই।
সারা দুনিয়ার মানুষ যদি স্বামীকে খারাপ বলে, আর স্ত্রী যদি স্বামীকে ভালো বলে, তা হলে আল্লাহ বলবেন আমি তোর স্ত্রীর কথাই গ্রহণ করে নিলাম। স্ত্রী যদি বলে আমার স্বামী ভালো ছিল, আল্লাহ বলবেন যা আমি তোকে জান্নাত দান করলাম এবং স্বামী যদি বলে আমার স্ত্রী ভালো ছিল তাহলে আল্লাহ বলবেন যা আমি তোকে জান্নাত দান করলাম। এজন্য মহানবী (সা.) বলেছেন, সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যার দ্বারা তাঁর পরিবার কষ্ট পায় না।
প্রত্যেক পুরুষকেই একজন আদর্শ স্বামী হওয়ার প্রয়োজন। এবং প্রত্যেক নারীকেই একজন আদর্শ রমণী হওয়ার প্রয়োজন। আরো পড়তে পারেন স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর জীবন। যৌন জ্ঞান অর্জন করতে পড়ুন, নারী-পুরুষের গোপন কথা বই টি।