কীভাবে প্রেম নিবেদন করবেন?
রবীন্দ্রনাথ এখনো আছেন, কিন্তু তার সময়টা আর নেই। তাই এখনো কেউ যদি শেষের কবিতার অমিত, লাবণ্যকে দেখে প্রেম নিবেদন করতে যান তবে হোঁচট খেতে হবে। বরং এই সময়ের মতো করে জেনে রাখা দরকার কেমন করে মনের মানুষটিকে মনের কথা বলে ফেলতে হয়। রাজি করাতে হয়। শুধু বলায় তো কোনো লাভ নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেম নিবেদন মানে মেয়ে বা ছেলে পটানো নয়। জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। তাই এর মধ্যে আবেগ যেমন থাকবে, তেমনই চাই কৌশল। কারণ, কোনো কাজই পদ্ধতি মেনে না করলে তাতে ত্রুটি থেকে যায়। যেমন- তেমন করে বলে ফেললেই হবে না। মনে রাখতে হবে যাকে প্রোপোজ করা হচ্ছে তিনি কেমন মানসিকতার। তার রুচি কেমন। গোলাপ না সূর্যমুখী!
সিনেমা নয়, বাস্তবের মাটিতে পা রাখুন। প্রোপোজ করার আগে নিজেকে কয়েকটা প্রশ্ন করুন। আপনি কি প্রেমের জীবনে প্রবেশ করতে চান? যাকে প্রোপোজ করবেন তিনি ফিরিয়ে দিলে কি সহ্য করতে পারবেন? আগে থাকতেই সে কারো সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে মেনে নিতে পারবেন? সব কটি প্রশ্নে নিজের থেকে ‘হ্যাঁ’ উত্তর পেলে তবেই এগোবেন।
মনে রাখবেন প্রেম নিবেদন সবার আগে দরকার সাহস। প্রয়োজনে সাহস সঞ্চয়ের জন্য মেডিটেশনের পথ নিতে হতে পারে। কটা দিন অভ্যাস করুন। শারীরিক কসরতও দরকার। যার মাধ্যমে প্রোপোজ করার সাহস খুঁজে পাবেন। দুই হাত বুক থেকে সরাসরি সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এর পরে তা দুই পাশে বিস্তৃত করে চক্র তৈরি করুন। এতে হৃদয়টা যেন উন্মুক্ত করে দিলেন আপনি। মনে রাখবেন প্রোপোজ করার সময় আপনাকে দেখে যেন আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। দুই পা পাশাপাশি রেখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দুই হাত দুই কোমরে রাখুন। আত্মবিশ্বাসী এই পোজে নিয়মিত দাঁড়ালে ব্যক্তিত্ব বাড়বে।
অনেকে বলবেন প্রেমের মধ্যে এত নাটক করা যায় নাকি! কিন্তু মনে রাখবেন যতক্ষণ না সম্পর্ক গড়ে উঠছে ততক্ষণ আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজনে তাই আপনাকে প্রেম নিবেদনের মহড়া দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের ৯৩ শতাংশ জুড়ে রয়েছে অঙ্গভঙ্গি, কণ্ঠস্বর এবং সৌজন্য প্রকাশ।
এছাড়াও তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
১) প্রোপোজের সময়টাকে যতটা পারা যায় উপভোগ্য ও মজাদার হতে হবে। পছন্দের মানুষকে পছন্দের মতো করে তখনই পাবেন যখন তার সঙ্গে সময়টা উপভোগ্য হবে। উষ্ণ হাসি আর খোলামেলা মানসিকতা চাই।
২) প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম হবে তার কোনো মানে নেই। জীবনে হৃদয় ভাঙার যে যে ঘটনা রয়েছে তা লিখে ফেলুন। খারাপ, ভালো সব লিখুন। নিজেকে বিচার করুন। সংশোধন না করলে প্রেম স্থায়ী হবে না।
৩) সবার আগে নিজেকে নিজের কাছে প্রতিশ্রুতিবান হতে হবে। এটা আপনার স্পষ্ট পরিচয় তুলে ধরতে সাহায্য করবে। ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাবে।