সঙ্গম বেশি ক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না? রইল ৮ টিপস ! দীর্ঘ সময় সঙ্গম করুন এখন থেকেই…
শয্যাসঙ্গিনীকে খুশি করতে না পারা অনেক পুরুষের কাছেই গ্লানির হতে পারে। সহবাস বা সঙ্গমের সময় খুব তাড়াতাড়ি স্খলন হয়ে যাওয়া অনেক পুরুষেরই সমস্যা। তাতে সঙ্গমের সময় কমে যায়। সঙ্গমকে দীর্ঘায়িত করার জন্য স্খলন বা ইজ্যাকুলেশন দেরিতে হওয়া জরুরি। তা কিন্তু পুরুষের হাতের বাইরে নয়। পুরুষরা কয়েকটি ছোটখাটো বিষয়ে একটু অভ্যাস করলে দ্রুত স্খলন হওয়া রুখতেই পারেন। জেনে নিন সেই আটটি টিপস:
১. কেজেল এক্সারসাইস: কেজেল হল সেই পেশী, যা প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরুষরা ব্যবহার করেন। সহবাসের সময় বীর্য স্খলনের সময় হলে এই পেশী ব্যবহার করে তা আটকে রাখা যায় বেশ কিছুক্ষণ। তার জন্য কেজেল পেশীর শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজন। রোজ ৩০ বার করে কেজেল পেশী প্রসারণ করলে বা ফোলালে এর শক্তি বাড়ে।
২. সহবাস বা যৌন সঙ্গমের সময় পুরুষের উত্তেজনা যত বাড়তে থাকে স্ক্রোটাম (অণ্ডকোষ) তত উপরের দিকে উঠতে থাকে। স্খলনের মূহূর্তে স্ক্রোটাম শরীরের সবচেয়ে কাছে থাকে। তাই স্খলন রুখতে স্ক্রোটামকে টেনে শরীর থেকে একটু দূরে রাখার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতি বার বার প্রয়োগ না করাই ভাল।
৩. সহবাসের সময় কী নিয়ে ভাবছেন, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ যদি নিজের স্খলনের কথাই ভাবতে থাকেন, তা হলে দ্রুত তা ঘটবে। তা না করে ভাবতে থাকুন, সঙ্গিনী কতটা আনন্দ পাচ্ছেন আপনার প্রচেষ্টায়। তা হলে মনসংযোগ অন্য দিকে থাকে। স্খলন দ্রুত হয় না।
৪. স্খলন আটকে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করার চেষ্টা করলে অনেক সময় প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। সে ক্ষেত্রে সঙ্গম থামিয়ে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে হালকা মালিশ দেওয়া যেতে পারে।
৫. ব্লু বেরি হল এমন একটু ফল, যা পুরুষের দ্রুত স্খলন প্রতিরোধ করে। দীর্ঘ ক্ষণ টিকে থাকার শক্তি পেতে ব্লু বেরি খান।
৬. সঙ্গমের সময় সঙ্গিনীকে বিছানায় না রেখে যদি পুরুষ বিছানায় থাকেন এবং সঙ্গিনী তাঁর শরীরের উপরে থাকেন, তা হলে সহবাস দীর্ঘায়িত হয়।
৭. স্খলনের সময় হয়ে এসেছে বুঝতে পারলে স্ক্রোটাম এবং অ্যানাসের মধ্যবর্তী জায়গায় অল্প চাপ দিন। তাতে স্খলন থামানো যায়।