৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

এক রাতের কম ঘুমে শরীরের কী ক্ষতি হয়?

শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা কিন্তু সত্যি যে, একটা রাত কম ঘুমালেও সেটা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। শুধু তাই নট, আপনার এক রাতের বাজে ঘুম আর টানা ছয় মাসের উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার

খাওয়াকে শেষমেশ এক সারিতে খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা! এ দুটো কাজই নাকি মানব শরীরকে একইভাবে প্রভাবিত করে থাকে।

তবে এটা আমার কথা নয়। এই কথাগুলোকে সত্যি বলে প্রমাণিত করেছেন সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসের সিডারস সিনাই মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত জোসেইন ব্রাউসার্ড। কিছুদিন আগেই নিজের চালানো এই গবেষনায় খুঁজে পান জোসেইন এই একেবারে অন্যরকম আর চমকে দেওয়া তথ্যটি। তবে এর সাথে শরীরের ইনসুলিনের মাত্রার একটা সম্পর্ক দেখানোর এবং তার ভিত্তিতেই নিজের পাওয়া তথ্যকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
ইনসুলিন হচ্ছে মানুষের শরীরে থাকা এক ধরনের হরমোন যেটি কিনা দেহের সুগারের পরিমাণকে নির্দেশ করে। এটিই আমাদের শরীরের সুগারকে খুব বেশি বা খুব কম হওয়া থেকে বিরত রাখে। জোসেইনের মতে, মানুষের শরীরে টানা ছয় মাস ধরে উচ্চ চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহনের যে ফলাফল দেখা যায়, অর্থাৎ ইনসুলিনের মাত্রা যে পরিমানে চলে যায় সেটাই দেখতে পাওয়া যায় যদি কিনা মাত্র একরাম তার কম ঘুম হয়।
এক্ষেত্রে শরীরের রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায়। শরীরের ইনসুলিন উত্পন্ন করার স্বাভাবিক ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে রক্তে সুগার বাড়লে যেখানে সাথে সাথে শরীর ইনসুলিন উত্পন্ন করে সেটাকে ঠিকঠাক পর্যায়ে নিয়ে চলে আসে, এ সময় সেটা করতে সে ব্যর্থ হয়। জন্ম নেয় ডায়াবেটিস ও ওজনজনিত সমস্যার।
অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের পাল্লায়ও পড়তে হয় এক্ষেত্রে মানুষকে। পরবর্তীতে অবশ্য সেটা চলে যায় ডায়াবেটিসে।
একদিকে জোসেইন দেখিয়েছেন যে, কম ঘুমের দ্বারা রক্তে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমে যায় ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে ছয়মাস উচ্চ ফ্যাট জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে সেটি কমে যায় ২১ শতাংশ। যদিও পরীক্ষাটির ক্ষেত্রে গিনিপিগ হিসেবে কুকুরকে ব্যবহার করা হয়েছে, তবে এটি মানুষের ক্ষেত্রেও ঠিক এতটাই যৌক্তিক বলে দাবী করেন গবেষক। তাই এক রাতের কম ঘুম কিবা ছয়মাসের উচ্চ চর্বিসহ খাবারের ফলে মানুষের দেহের ইনসুলিন সেনসেটিভিটি ক্ষমতা, রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ও সর্বশেষে ডায়াবেটিস- এই সবগুলোকে একটি চক্রে নিয়ে আসেন এই বিজ্ঞানী।
তবে শুধু তিনিই নন, ডায়াবেটিস কেয়ারের একটি প্রকাশিত আর্টকেলে কম ঘুম এবং ডায়াবেটিসের সাথে খুব স্বাভাবিক আর যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই আজ থেকে প্রস্তুতি নিন আর চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমোবার।

Comments

comments