৬ অভ্যাসে বাড়ছে ভুঁড়ি !!!
কেউই চান না নিজেকে মোটা দেখতে আর সেজন্য ওজন কমাতে চেষ্টার কসুর করেন না। তবে সবসময় চাইলেই যে ওজন কমানো যায় তা নয়। তবে শুধু কম বা বেশি খাওয়ার উপরে আমাদের রোগা বা মোটা হওয়া নির্ভর করে না। আরও নানা কারণ এতে অনুঘটকের কাজ করে। খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মূলত আমাদের জীবনযাত্রার ধরনের ফলেই বেলি ফ্যাট বা ভুঁড়ির সমস্যা হয় আমাদের। আমরা জেনে নেই কোন অভ্যাসের ফলে পেটে চর্বি জমে ভুঁড়ি হয় আমাদের।
বসে কাজ করা : রুজি-রোজগারের জন্য করতে হলেও অফিসে বসে বসে কাজ করার চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই। ডেস্কে বসে কাজে যেমন পেটে চর্বি বাড়ে, তেমনই এই কাজ শরীরকে আরও খারাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
না ভেবে খাওয়া : ব্যালান্স ডায়েট মেনে না চললে পেটে চর্বি জমবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি কেমন খাবার খাচ্ছেন, সেটা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া : টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া বা কোনও কাজ করেত করতে খাওয়াকে বলে ‘মাইন্ডলেস ইটিং’। অলসভাবে টিভির সামনে বসে খাবেন না। এতে খাওয়াও ঠিক হবে না, আর বেশিও খেয়ে ফেলবেন আপনি।
কমফোর্ট জোনে চলে যাওয়া : আরাম করা। শাররীক পরিশ্রম না করা। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করতে পারলে তবেই অলসতা কাটাতে পারবেন আপনি। একইসঙ্গে ওজন কমাতে বা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এটি।
রাতের পার্টি : রাতে নিয়মিত পার্টি বা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে খানাপিনার আয়োজন করলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হবেই। আর তা না ঝরালে পেল্লাই ভুঁড়ি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কারণ রাতের খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। খেয়েই ঘুমাতে চলে যাওয়া মানে হজম ভালোভাবে হয় না। একইসঙ্গে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে।
আসল খাবারে মন না দেওয়া : শাক-সবজি-ফল-শস্য ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবারকেই নিজের ডায়েটে জায়গা দিতে হবে। তার বদলে ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডে ভরসা রাখলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।