লিভার সুস্থ রাখতে চাইলে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন !!!
মানবদেহের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। এই একটি অঙ্গ অনেকগুলো শারীরিক কাজ করে থাকে যেমন মেটাবলিজম, হজমশক্তি বৃদ্ধি, বিষাক্ত পর্দাথ দূর করা ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সমস্যা শুরুর দিকে এর চিকিৎসা করা না হলে লিভার ফেইলিয়ারের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
লিভার ফেইলিয়ার আস্তে আস্তে শুরু হয়ে থাকে। আপনার কিছু কাজ দ্বারা এটি আরও মারাত্নক আকার ধারণ করে থাকে। লিভার সুস্থ রাখতে এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
* অতিরিক্ত মদ্যপান
অ্যালকোহল লিভার ইনফ্লামেশন, ফ্যাটি লিভার, এমনকি লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ। লিভার খাবারের ভেঙে শক্তিতে রূপান্তর করে থাকে। লিভার যখন অ্যালকোহল ভাঙ্গার চেষ্টা করে তখন এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে সকল নিয়মিত মদ্যপান করে থাকে সাধারণত তারা বেশি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
* স্থূলতা
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা লিভার সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। লিভারে চারপাশে চর্বি জমে লিভার ফেইলিয়ারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে দেয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক রোগী লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
* ডায়াবেটিস
এক গবেষণায় প্রকাশ করা হয় ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০% লিভার ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। যা লিভার ড্যামেজের অন্যতম কারণ হয়ে থাকে।
* অতিরিক্ত ওষুধ সেবন
অতিরিক্ত ওষুধ সেবন মারাত্নক ক্ষতি করে থাকে লিভারের। বর্তমান সময়ে অনেকে ডাক্তার পেইনকিলার খেতে নিষেধ করে থাকে। পেইন কিলার, অবসাদ কমানোর ওষুধ, মুড ঠিক করার ওষুধ ইত্যাদি লিভারের ক্ষতি করে থাকে।
* লবণ বেশি খাওয়া
অতিরিক্ত লবণ এবং লবণ জাতীয় খাবার রক্তচাপ বৃদ্ধি করে থাকে। এটি লিভারে পানি বৃদ্ধি করে লিভারে ক্ষতি করে থাকে। বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই ত্যাগ করুন।
* ধূমপান
ধূমপান সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে না থাকলেও পরোক্ষভাবে এটি লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সিগারেটের ক্ষতিকর উপাদান লিভারের পৌঁছানোর পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করে যা লিভারের কোষে প্রভাব ফেলে থাকে।
* সাপ্লিমেনিটরি
গবেষণায় দেখা গেছে পুষ্টি অথবা ডায়েটেরি সাপ্লিমেনটরি লিভারে কিছু এনজাইম তৈরি করে থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের কারণে অনেক সময় লিভার ড্যামেজ হতে পারে।
Related Posts
Comments
comments