ধূমপান ছাড়াও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার ৫ কারণ
দীর্ঘমেয়াদি ধূমপায়ী
যারা অনেক বছর ধরে ধূমপান করছেন, বিশেষ করে যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এমনকি যারা ধূমপান ছেড়েছেন, তারাও এই ঝুঁকির বাইরে নন।
যারা জ্বালানি কাঠ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানে রান্না করেন, তাদের ফুসফুস ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের জ্বালানি পোড়ালে রেডন, অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। যা ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
পরোক্ষ ধূমপায়ী
যারা নিজেরা ধূমপান করেন না, কিন্তু ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন, তারাও ধোঁয়ার মাধ্যমে ক্ষতির মুখে পড়েন। একে বলা হয় প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপান।
পরিবারে যদি কারো ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে থাকে, তাহলে বংশগতভাবে সেই ঝুঁকি অন্য সদস্যদের মধ্যেও থাকতে পারে। বিশেষ করে যদি পরিবারে কেউ ধূমপায়ী থাকেন, তাহলে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি।
ঝুঁকিপূর্ণ পেশা
যেসব পেশায় অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক, ডিজেল ধোঁয়া বা অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা হয়— যেমন খনিশ্রমিক, নির্মাণকর্মী বা কলকারখানার শ্রমিক— তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই এসব পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত।
মনে রাখা জরুরি যে ফুসফুসের ক্যান্সারসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা