৫ টি ব্যায়াম ঠিক রাখবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য
শরীর সুস্থ থাকার অর্থ এই নয় যে আপনি পরিপূর্ণ ভাবে সুস্থ একজন মানুষ। আমরা শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দিতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা একেবারেই ভুলে যাই। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা করার মতো নয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক না হলে নার্ভাস ব্রেকডাউনের মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। তাই শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি নজর দিতে হবে মানসিক সুস্থতার উপরেও। তাই আজ শিখে নিন মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে কার্যকরী কিছু ব্যায়াম।
১) মেডিটেশন –
নিজের মনটাকে শান্ত রাখার বিষয়টি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। আর মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মেডিটেশন সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। নির্জন একটি স্থানে নিজেকে একাগ্র করে মেডিটেশন করা আপনার মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি, মনোযোগ বৃদ্ধি এবং মানসিক চাপ দূর করার ক্ষমতা বাড়ায়।
২) পাজল গেম –
পাজল গেম সমাধান করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের অনেক ভালো ব্যায়াম হয়। মস্তিষ্কের এই ধরণের ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নিউরন অর্থাৎ নতুন কোষের জন্ম হয় যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। এছাড়াও এই ধরণের খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
৩) স্ট্যাট্রেজি গেম –
অনেক ধৈর্য নিয়ে এবং পরিকল্পনা করে যেসকল খেলা, খেলা হয়, যেমনঃ দাবা, কম্পিউটারের নানা গেম ইত্যাদি, সেসকল খেলার মাধ্যমে অনেক ভালো ব্যায়াম হয় মস্তিস্কের। এবং এতে করে ধৈর্য ধারণ ক্ষমতা, পরিকল্পনা করে আগানোর বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং সময় পেলেই বসে যান খেলতে।
৪) নিউরোবিক এক্সারসাইজ –
নিউরোবিক এক্সারসাইজ মূলত আমাদের একটির বেশি ইন্দ্রিয় নিয়ে একসাথে কাজ করার বিষয়টিকে বোঝায়। দৈনন্দিন সাধারণ কাজের সাথে আমাদের কল্পনা শক্তি কিংবা চিন্তা করার ক্ষমতা একসাথে মিলিয়ে কাজ করার মাধ্যমেই এই ব্যায়ামটি করা হয়।
৫) কার্ডিওভ্যস্কুলার ফিটনেস –
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার আরেকটি বিশেষ উপায় হচ্ছে কার্ডিওভ্যস্কুলার ট্রেনিং করা। কার্ডিওভ্যস্কুলার ফিটনেস ঠিক থাকলে বয়সের সাথেসাথে মস্তিস্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারানোর বিষয়টি দূর হয়। বরং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া, আলঝেইমার্স রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।