পেটের বিচ্ছিরি মেদ দূর করে দিন ৪ টি সহজ যোগব্যায়ামে
নারী কিংবা পুরুষ সকলেই এই পেটের মেদ নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন। কারণ এই পেটের মেদ বেশ নাছোড়বান্দা, সহজে যেতে চায় না বরং বাড়তেই থাকে। দেখতেও বিশ্রী লাগে। যেভাবেই ঢাকতে যান না কেন পেটের মেদ ঢাকা পড়বে না, দেখা যাবেই।
তাই ঢাকাঢাকির যন্ত্রণায় না গিয়ে বরং কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন এই বিচ্ছিরি পেটের মেদ। মাত্র ৪ টি যোগব্যায়ামের মাধ্যমে বেশ সহজেই কমাতে পারবেন এই বিচ্ছিরি মেদ। ভাবছেন ব্যায়াম অনেক কঠিন হবে? মোটেই নয়। আজকে চলুন ঝটপট শিখে নেয়া যাক সহজ ৪ টি যোগব্যায়ামের আসন।
১) সান সেলুটেশন (সূর্যনমস্কার) –
এই যোগব্যায়ামের পোজটি অনেক বেশি কার্যকরী। যোগব্যায়ামের শুরুতেই এই আসনটি করে নিন। দুই হাত পেটের কাছ থেকে ছড়িয়ে মাথার উপরে তুলে নিন। এরপর নিচু হয়ে দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা ছুয়ে নিন। তারপর পেটের কাচে ভাঁজ রেখেই হাঁটুর কাছে দুই হাত রাখুন।
এরপর হাতের কবজি ও পায়ের পাতার সামনের অংশে ভর দিয়ে দেহ উপরে ধরে রাখুন খানিকক্ষণ। হাত ও পায়ের অবস্থান কাছাকাছি নিয়ে দেহকে ত্রিভুজ আকৃতির মতো বাঁক দিন।
এরপর মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। নাভি থেকে দেহের নিচের অংশ এবং হাতের কবজির উপর ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ যতোটা সম্ভব বাঁকা করে উপরে তুলে নিন। এরপর থেকে আগের অংশটুকু উল্টোভাবে করে নিন যাতে একেবারে প্রথমের অবস্থানে যেতে পারেন।
২) কোবরা পোজ –
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর নাভি থেকে দেহের নিচের অংশ এবং হাতের কবজির উপর ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ যতোটা সম্ভব বাঁকা করে উপরে তুলে নিন। এভাবে ধরে রাখুন ৩০ সেকেন্ড। আবার মাথা নিচু করে শুয়ে পড়ুন।
৩) বো পোজ –
উপুড় হয়ে শুয়ে মাথা সহ দেহের উপরের অংশ তুলে নিন। পা ভাঁজ করে মাথার কাছাকাছি আনুন এবং দুই হাত দিয়ে দুই পা ধরুন। এবার হাত পা টানটান করে নিন ও শুধু পেট ও কোমরের উপর ভর রাখুন। দম রেখে ধরে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে প্রথম অবস্থানে আসুন।
৪) নি হাগ পোজ (আপনাসন) –
চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা হাঁটুর কাছে ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন। এবং দুই হাত দিয়ে শক্ত করে হাঁটু চেপে ধরুন। পিঠ ও কোমরের উপর ভর রেখে মাথা ও কাঁধের অংশ বাঁকা করে ভাঁজ করা হাঁটুতে মুখ গুঁজুন। এভাবে থাকুন ৩০ সেকেন্ড।