যে পাঁচ ধরনের মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে বেশি
পাঁচটি কারণে কোনো মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
ওই সংস্থার গবেষকরা এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং এই কয়েক মাসের অভিজ্ঞতার আলোকে এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করেছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মিরর-এর প্রতিবেদনে এই পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে-
১. বয়স
বয়স্কদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় হার্ট, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতির হাত থেকে তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে রক্ষা করতে পারছে না।
২. লিঙ্গ
পরিসংখ্যান বলছে, নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। যদিও এর কারণ এখনো জানতে পারেননি গবেষকরা। ইতালিতে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ হলেও মৃতদের মধ্যে পুরুষের শতাংশ ৬৮। গ্রিসে জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ পুরুষ হলেও করোনায় মৃতদের ৭২ শতাংশ পুরুষ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীরা বেশিরভাগ সময় পুরুষের চেয়ে ঘরে সময় পার করেন। এমনকি করোনাভাইরাসের বিষয়টিও নারীরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। কিন্তু পুরুষরা সেভাবে বিবেচনা না করে এখনো বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও পুরুষের সংখ্যাটা বেশি হচ্ছে।
৩. শারীরিকভাবে দুর্বল
যেসব মানুষ আগে থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে আছেন; বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে সমস্যা, হজমের সমস্যায় ভুগছেন- তাদের মৃত্যু হার বেশি।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, উহান শহরে প্রথম এক হাজার জন আক্রান্ত হওয়ার পর যারা মারা গেছেন- তাদের বেশিরভাগেরই ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হার্টে সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল। হঠাৎ করেই সেসব রোগের উপসর্গ বেড়ে গিয়ে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
৪. ওজন
শারীরিকভাবে বেশি ওজনের মানুষদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। ফ্রান্সের গবেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে এত বেশি মানুষ মারা যাওয়ার প্রধান কারণ হলো বাড়তি ওজন। মোটা মানুষজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার কথাও বলেছেন গবেষকরা।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সে ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কেবল আক্রান্ত কোনো মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে টেনে নিয়ে আসতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, করোনা আক্রান্ত হলে তাদের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে গুরুতরভাবে। এ ধরনের মানুষকে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত নিতে হচ্ছে। পরে বেশি সংখ্যক এ ধরনের মানুষ মারা যাচ্ছে।