৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

দেশে প্রায় ২ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত

বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি লোক কিডনিজনিত কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত। কিডনিজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় শতকরা ১০ জন রোগী এর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবন আচারের মাধ্যমে এই রোগে মৃত্যুঝুকি ৬৮ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

তারা জানান, নিয়ন্ত্রিত জীবন আচার অর্থাৎ প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা হাটা, পর্যাপ্ত পানি পান, ফলমূল-শাকসবজি খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ধুমপান থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি সারা জীবন সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানায়।

আগামী ১০ মার্চ পৃথিবীব্যাপি পালিতে হতে যাচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস- ২০১৬। এবারের বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শিশুদের কিডনি রোগ : শুরুতেই প্রতিরোধ’।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘শিশুরা অতিসাধারণ চিকিৎসাযোগ্য কিডনি রোগ থেকে শুরু করে মারাত্মক ও জীবন সংহারী কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এমন অনেক রোগ আছে যেগুলো শিশুকাল থেকে শুরু হয়ে সুপ্ত অবস্থায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তীতে তা কিডনি বিকল করে ফেলে।’

শিশুকাল থেকেই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান চিকিৎসকরা।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান এবং কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পাস) সভাপতি ডা. এমএ সামাদ।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীব্যাপী কিডনি রোগের হার অত্যন্ত ব্যপক। অর্থাভাবে সিংহভাগ রোগী অকালে প্রাণ হারায়। অথচ একটু সচেতন হলেই ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় কিডনিজনিত রোগের উপস্থিতি এবং এর কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

ohabitlogo

বৈঠকে গণস্বাস্থ্যের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে কিডনিজনিত রোগের ওষুধের মূল্য আকাশচুম্বি, চিকিৎসা ব্যয় জনগণের নাগালের বাইরে। সরকার চাইলে ওষুধের মূল্য এবং চিকিৎসা ব্যয় কমাতে পারে। কিন্তু সরকার নিশ্চুপ।’ এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবার ডায়ালসিস করতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য বেশি।’ এই ডায়ালসিসের ফি দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এ সময় অন্যান্য আলোচকরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগের ভয়াবহতা আজ সংশ্লিষ্ট সকলেই উপলব্ধি করছে। চিকিৎসা করে নয় বরং প্রতিরোধ করেই এর প্রাদূর্ভাব রোধ করতে হবে। আর এ জন্য সচেতনতাই একমাত্র উপায়।

বিশ্ব কিডনি দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পাস)।

গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ খান, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হানিফ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেলিন প্রমুখ।

Comments

comments