বাংলাদেশেই আছে করোনার কার্যকর ওষুধ -সোসাইটি অব মেডিসিন!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকারের কাছে মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এরই মধ্যে দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী খ্যাতনামা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদনে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দেশের মানুষ যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সুচিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তখন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরপরও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করার মতো কার্যকর ওষুধ দেশেই রয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল আলম জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া জ্বরে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইনের সঙ্গে এজিথ্রোমাইসিন সাত দিন সেবনে অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে দেশে করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ‘স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন’ দিয়েছে। ওই সুপারিশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইনের সঙ্গে এজিথ্রোমাইসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ওই গাইডলাইন অনুসরণ করে সারা দেশের চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্তদের একই ধরনের চিকিৎসা সেবা দেবেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ইনসেপ্টা, ডেল্টা, এসিআই, জেসন, রেডিয়েন্ট ও ডেল্টা ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যালেরিয়া জ্বরের ওষুধ উৎপাদন করে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে চিকিৎসাসেবা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য এর বাইরে বেক্সিকো, স্কয়ার ফার্মাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ দুটি ওষুধ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া জ্বরে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন কার্যকর বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা। সোসাইটি করোনা রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এরই মধ্যে এক লাখ রোগীর চিকিৎসা দেয়ার মতো ওষুধ মজুদ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সব মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরও যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে তাতেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কয়েক লাখ রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার মতো কার্যকর ওষুধের মজুদ ও সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর