জিংকসমৃদ্ধ কিছু খাবার
জিংক শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। এটি ৩০০টিরও বেশি এনজাইমের সঠিক পরিচালনের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে এবং শরীরের টিস্যুগুলো বৃদ্ধি এবং মেরামত করে। পুরুষদের দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম জিংকের চাহিদা রয়েছে এবং নারীর দেহে দৈনিক ৮ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। দৈনন্দিন কিছু খাবারেই এই জিংকের চাহিদা পূরণ হয়। এখানে জেনে নেওয়া যাক জিংকসমৃদ্ধ কিছু খাবারের পরিচয়।
মাংস
মাংস জিংকের একটি দুর্দান্ত উৎস। বিশেষ করে লাল মাংস। গরুর মাংসের পাশাপাশি ভেড়ার মাংসেও প্রচুর জিংক থাকে। গ্রাম বা উন্মুক্ত অঞ্চলের গরু যেটাকে আমরা অর্গানিক গরু বলে থাকি, সেই গরুর ১০০ গ্রাম মাংসে ৪.৮ মিলিগ্রাম জিংক থাকে। এছাড়াও গরুর মাংসে প্রোটিন, আয়রন, বি ভিটামিনসহ গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির এক দুর্দান্ত উৎস।
ডিম
ডিমে থাকা পরিমিত জিংক দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। ডিমে ক্যালোরি, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, বি ভিটামিন, সেলেনিয়ামসহ আরো অনেক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।
শাকসবজি
সাধারণত ফল ও শাকসবজিতে তেমন জিংক থাকে না। কিছু সবজিতে অবশ্য এটা মেলে। যেমন আলু ও সবুজ মটরশুঁটিতে জিংক আছে। তবে এসবে পর্যাপ্ত জিংক না মিললেও হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।
শস্যজাতীয় খাবার
গম, ভাত এবং ওটসে কিছু পরিমাণ জিংক পাওয়া যা। এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ভালো। শস্য জাতীয় খাবারে ফাইবার, বি ভিটামিন, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এসব খুবই স্বাস্থ্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি ভালো উৎস।
দুগ্ধজাত খাবার
পনির বা দুধের মতো দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং জিংক রয়েছে। দেহ এই জিংক সহজে শোষণ করতে পারে। এই খাদ্যগুলো প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি-সহ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বীজ জাতীয় খাবার
কুমড়া, তিল এবং লাউ এর বীজগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। এছাড়া এই বীজগুলোতে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, খনিজ উপাদান পাওয়া যায়।
ডার্ক চকোলেট
এতে পর্যান্ত পরিমাণ জিংক পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ওজনের একটি চকোলেটের বারে ৩.৩ মিলিগ্রাম জিংক থাকে।
বাদাম
জিংক সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হচ্ছে বাদাম। চিনাবাদাম, পাইন বাদাম, কাজু বাদামের মতো জিংকসমৃদ্ধ বাদাম হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে। বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবারসহ অন্যান্য পুষ্টি থাকে।