শিশুর চর্মরোগ ঠেকাতে ডায়াপারের সঠিক ব্যবহার !!!
শিশুদের অভ্যাস কিছুক্ষণ পরপরই প্রস্রাব করা। প্রস্রাব করার কারণে বারবার পোশাক পরিবর্তন করা, ধোয়া এবং শুকানোর ঝামেলা থাকে। রাতে বা দুপুরে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করলে অনেক সময় বাবা-মা টের পান না। তাছাড়া দিনের বেলায় ব্যস্ত বাবা মা বাচ্চাদের ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। এর ভেতরে প্রস্রাব করলেও বোঝা যায় না। তাতে সোনামনির সর্দি ও কাশি হয়। তাছাড়া অনেক সময় বাচ্চারা খেলতে খেলতে প্রস্রাব করে দেয়। বাবা-মা হয়তো লক্ষ্যই করেন না। বেশিক্ষণ প্রস্রাব লেগে থাকলে বাচ্চাদের চর্মরোগ, পেটে অসুখ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ডায়াপার পাওয়া যায়। যেমন—মলফিক্স, লাভ বেবি, ইভ বেবি, প্যাম্পাস, নেনিস, হাসিস বেবেম, বেবি স্টার এবং চ্যুচ্যু। এগুলোর বেশিরভাগই আসে ইউরোপ, জাপান, চীন থেকে। তাই দামও একটু চড়া। চ্যুচ্যু বাংলাদেশী হলেও এর কাঁচামাল আসে চীন থেকে। ডায়পার শিশুদের ওজনের ওপর ভিত্তি করে কিনতে হয়। ডায়াপারে কি শিশু পুরোপুরি নিরাপদ?
এর উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যায়- শিশুদের প্রায়ই ডায়াপার-জনিত র্যাশ বা অ্যালার্জি, এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা বা দানা দেখা যেতে পারে। সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র্যাশ হয়েছে। তবে তীব্র গরমে এই সমস্যা বেশি হয়। র্যাশের সঙ্গে জ্বর, ফুসকুড়ি বা ফোসকা বা সাদা পুঁজ বের হতে দেখলে সংক্রমণ হয়েছে বুঝতে হবে। তখন জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা করানো উচিৎ।
সাধারণত নয় থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের এই সমস্যা বেশি হয়। শিশু অনেকক্ষণ ধরে একই ডায়াপার পরে থাকলে শিশুর মলের জীবাণু অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে আসা অ্যামোনিয়ার সংস্পর্শ ঘটার সুযোগ ঘটে। এ থেকে শিশুকে বাঁচাতে ঘন ঘন ডায়াপার বদলে দিতে হবে। বিশেষ করে মল ত্যাগ করার পর পরই। যতটা সম্ভব বাড়িতে ডায়াপারবিহীন অবস্থায় খোলা রাখা উচিৎ। যাদের র্যাশ হয়, তাদের ত্বক মোছার জন্য সুগন্ধি বা রাসায়নিক যুক্ত টিস্যু ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ডায়াপার ভিজে গেলে শিশু কাঁদে বা বিরক্ত করে। তখনই ডায়াপার পরিবর্তন করে দিতে হবে। এতে করে বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ থেকে এবং অস্বস্তিভাব থেকে রক্ষা করা যায়। বাইরে ঘুরতে নেয়ার সময় বাচ্চাদের ডায়াপার পরিয়ে নিলে শিশুদের কাপড় নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। মনে রাখা জরুরি, ডায়পারের সঠিক ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে শিশুর সুস্থতা।
Related Posts
Comments
comments