৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

মশার কামড়ে যেসব ভয়াবহ রোগ হয়

ক্ষুদ্র একটি প্রাণী মশা। যার কামড়ে বহন করে অনেক ক্ষতিকারক ও জীবননাশক জীবাণু। অনেকেরই ধারণা মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া হয়। তবে প্রচলিত এই রোগগুলো ছাড়া ও আরও কিছু ভয়াবহ রোগ হয় মশার কামড়ে। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে চলুন জেনে নেই সে রোগগুলোর কথা।

জিকা
সম্প্রতি কালে মশাবাহিত ভয়ঙ্কর রোগগুলোর মধ্যে জিকা অন্যতম। এর উপসর্গগুলো হলো জ্বর, মাথাব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা, শরীরে লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি ইত্যাদি। এই ভাইরাসের কারণে মারাত্মক জটিলতা হয় গর্ভস্থ শিশুর, ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই রোগের প্রাদুর্ভাব আমাদের দেশে তুলনামূলক কম।

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস
মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি স্নায়ুবিকভাবে দুর্বল হয়ে পুঙ্গ হয়ে যেতে পারে। এই রোগের ভীতিকর দিকটি হলো, এটি কোনও প্রকার উপসর্গ ছাড়াই দেখা দেয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতেই পারে না যে তিনি ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে আক্রান্ত।

ডেঙ্গু
জিকা বা চিকনগুনিয়ার মতো স্ত্রী এডিস মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। উচ্চমাত্রায় জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা (মাথার সামনের অংশে), চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশীতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, র‍্যাশ, বমি বমি ভাব, বিতৃষ্ণাবোধ ইত্যাদি এই রোগের উপসর্গ। ডেঙ্গু জ্বর প্রাণঘাতী হতে পারে।

ওয়েস্টার্ন ইকুয়িন এনসিফালাইটিস
কিউলেক্স মশার কামড়ে এই রোগ হয়। জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি এই রোগের উপসর্গ। সাধারণত বয়স্ক লোকেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

চিকনগুনিয়া
ডেঙ্গু ও জিকার ভাইরাস বহনকারী মশা এই রোগের কারণ। উপসর্গও ডেঙ্গুর মতো। তবে এই রোগে আক্রান্ত রোগী হাড়ের সংযোগস্থলে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। রোগটির কোনো প্রতিষেধক নেই।

ইয়োলো ফিভার
এর লক্ষণগুলো জন্ডিসের মতো। এই রোগ হলে সারা শরীর হলুদ রঙের হয়ে যায় এবং তীব্র জ্বর ও বমি বমি ভাব থাকে। আফ্রিকান দেশগুলোতে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে।

লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস
মশাবাহিত রোগের মধ্যে লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস কম পরিচিত হলেও এটি খুব ভয়ংকর। রোগটি ফাইলেরিয়া ধরনের একটি মারাত্মক ইনফেকশন, যার প্রভাবে মানুষের পা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গুণ ফুলে ভারী হয়ে ওঠে।

জাপানি এনসিফালাইটিস
মানবদেহে সংক্রমণের পর রোগটি কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমে প্রবেশ করে। এছাড়া জ্বর, মাথা ব্যাথা ও বমি বমি ভাব হয়।

সেইন্ট লুইস এনসিফালাইটিস
উপসর্গ হিসেবে জ্বর, মাথা ব্যাথা ও বমি বমি ভাব ইত্যাদি হয়ে থাকে। তবে এর তীব্রতা বাড়লে আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েকদিনের জন্য সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে যেতে পারে। শিশুদের তূলনায় বয়স্করা এই রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। রোগটির কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।

লা ক্রস এনসিফালাইটিস
যে সমস্ত মশা গাছের কোটরে জন্ম নেয় তাদের কাছে থেকে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। এই রোগের উপসর্গ হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর ও বমি বমি ভাব হয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এই রোগে ভুগলে আক্রান্ত ব্যক্তি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

ইস্টার্ন ইকুয়িন এনসিফালাইটিস
মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত এক-তৃতীয়াংশ লোক মারা যায় এবং যারা রোগাক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে যায় তাদের মস্তিস্কে সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই।

ভেনিজুয়েলা ইকুয়িন এনসিফালাইটিস
মশাবাহিত এই রোগ গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিকর। কারণ এর ফলে অকালে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Comments

comments