সদ্য মায়েদের যেসব খাবার খাওয়া উচিৎ
গর্ভাবস্থায় সুস্থ মায়ের দেহ থেকে শিশু প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। এজন্য সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে আগে মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের পর বাচ্চা দরকারি সব পুষ্টি পায় মায়ের দুধ পানের ভেতর দিয়ে। তাই প্রসবের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর যত্নে দরকার বিশেষ খাবার। যেমন-
১. দুগ্ধজাত: এ খাবার খুবই জরুরি। দুধ, পনির, দই ও নিম্নমাত্রার দুগ্ধজাত যেকোনো খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এসব খাবার প্রোটিন, ভিটামিন ‘বি’ ও ‘ডি’-তে পূর্ণ থাকে। আরো আছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবার দুধ কিংবা দুধ থেকে তৈরি খাবার খেতে হবে।
২. ডাল: যারা নিরামিষভোজী, তাদের জন্য প্রোটিনের প্রাচুর্যপূর্ণ উৎস হচ্ছে ডাল। দুপুর ও রাতের খাবারের সঙ্গে অবশ্যই ডাল রাখা উচিত। মসুর, মুগ, মাষকলাই কিংবা বুটের ডাল—যেটিই পছন্দ, তা খেতে হবে।
৩. খনিজ: বিশেষজ্ঞরা নতুন মায়েদের এমন খাবার খেতে বলেন, যাতে মেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এ ছাড়া খেতে হবে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ও ভক্ষণযোগ্য ফাইবার। চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ, মুরগি, ডিম ও শিমের বিচি খেতে হবে। বর্তমানে অনেক মা সকালের নাশতায় ওটস বেছে নিয়েছেন। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন আছে।
৪. সাইট্রাস: এ সময়ের অনেক মা-ই কর্মজীবী। তাঁদের সব সময় প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর থাকা প্রয়োজন। এই মায়েদের সাইট্রাসজাতীয় ফল খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। এসব ফল অতি জরুরি ভিটামিন ‘সি’র দারুণ উৎস। গর্ভবতী নারীর চেয়ে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের ভিটামিন ‘সি’ বেশি প্রয়োজন হয়। কারণ, বুকের দুধ উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ কারণে লেবু, আপেল, কমলা, জাম্বুরা, কলা কিংবা অ্যাভোকাডো খাওয়া উচিত।
৫. ডিম: প্রতিদিন সকাল ও দুপুরে একটা করে ডিম খাওয়া যেতে পারে। পোচ বা সিদ্ধ করে খেতে হবে। ডিমের কুসুমে আছে ভিটামিন ‘ডি’। দেহের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে এই ভিটামিনের জুড়ি নেই। এ ছাড়া সাদা অংশে প্রোটিন আছে।
৬. শাকসবজি: আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার আর উদ্ভিজ্জ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জন্য সবুজ-হলুদ শাকসবজি খেতেই হবে। এসব এমনিতেই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর আরো বেশি করে খেতে হবে।
৭. আরো খাবার: খাদ্যতালিকায় আরো অনেক খাবার যোগ করা যেতে পারে। বাদাম, শস্যদানা দিয়ে তৈরি খাবার, সিদ্ধ মিষ্টি আলু, কাঠবাদাম, খেজুর ইত্যাদি বেশ উপকারে আসে। বাদামজাতীয় খাবারে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও জিংক।
সূত্র: অমৃতবাজার