প্রেমের সঙ্গে চকলেটের কী সম্পর্ক?
ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিনের নাম হল চকলেট ডে। যেদিন প্রিয়জনকে মিষ্টি মুখ করাতে চকলেট উপহার দেওয়া হয়। শুধু ভালোবাসার মানুষের মন পেতেই আমরা মিষ্টি মুখ করি না। আমাদের জীবনে কোনো সুখের ঘটনা ঘটলে বা প্রিয়জনের জন্মদিনে শুভেছা জানাতেও উপহার হিসেবে চকলেট দেওয়ার চল রয়েছে।
তবে নিছক চলই নয়। গবেষণা বলছে অন্য এক কথা। যেখানে জানা গেছে, ভালোবাসা বৃদ্ধিতে বা যেসব মানুষ জীবনে প্রেমের বালাই নেই; এমন মানুষদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার উৎসাহ উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলতে চকলেট বা মিষ্টির ভূমিকা অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। তেমনই তথ্য জানাচ্ছে, ‘জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড পার্সোনাল রিলেশনশিপ’ নামের একটি পত্রিকা। আর এই পত্রিকাতেই ওঠে এসেছে, আমাদের মন মানসিকতা বা উদ্দীপনার ক্ষেত্রে চকলেট এবং মিষ্টি কতটা কার্যকারী।
এই পত্রিকা প্রকাশের আগে গবেষকরা একদল সিঙ্গেল মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছিলেন। ওই একদল সিঙ্গেল মানুষদের প্রত্যেককে চকলেট এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়া হয়েছিল। সেই খাবার গ্রহণের পর গবেষকরা দেখিয়েছেন, চকলেট খাওয়ার পর তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার প্রবণতা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, তারা প্রেমে পড়তে উৎসাহী হয়েছে অনেক।
‘স্যুইট লাভে’ প্রকাশিত তথ্যে আরো জানা গেছে, মিষ্টি বা চকলেট খাওয়ার পর সেই সমস্ত মানুষ আগের তুলনায় রোম্যান্টিক হয়েছে। এছাড়াও যে সমস্ত মানুষ এরই মধ্যে সম্পর্কে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আরও জোরালো হয়েছে।
এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন যে, আসলে ভালোবাসা সত্যিই মিষ্টি। আর ভালোবাসার যে অনুভূতি তার প্রকাশ এই মিষ্টি থেকেই আসে। তাইতো প্রিয়জনের সঙ্গে কোনো সুন্দর মুহূর্ত উদযাপনের সময় একে অপরকে মিষ্টি মুখ করানোর চল এখনও অব্যাহত।
সব শেষে গবেষকরা এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে সর্বোপরি চকলেট বা মিষ্টি খেতে যারা বেশি পছন্দ করেন তাদের মধ্যে অন্যদের তুলনায় ভালোবাসা, রোম্যান্টিকতা এগুলো একটু বেশি রয়েছে। তারা ভালোবাসার ক্ষেত্রেও প্রত্যয়ী।
এছাড়াও চকলেট আমাদের মস্তিস্কে মিষ্টি অনুভূতির সৃষ্টি করে। চকলেট বা মিষ্টি গ্রহণের ফলে আমাদের শরীর থেকে এক ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয় যা আমাদের গুড ফিলিং দেয়। শুধু তাই নয়, গবেষকরা সব শেষে জানিয়েছেন, শুধু ভালোবাসার ক্ষেত্রে নয় চকলেট প্রভাব ফেলে যৌন সম্পর্কেও।