৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

সমবয়সী বিয়ে করলে যা হয়

বিয়ে হচ্ছে দুজন মানুষের মধ্যে একটি বন্ধন, যা সারাজীবনের জন্য অটুট থাকবে। আর তার জন্য নিজেদের মধ্য বোঝাপড়া থাকাটা বড় বিষয়। ভালোবেসে বিয়ে হোক আর পরিবারগতভাবে বিয়েই হোক সব কিছুতেই বোঝাপড়াটাই প্রধান। দুজন যদি দুজনকে পড়ে নিতে পারেন তাহলে সংসারে সমস্যা আসলেও তা সমাধান করা সহজ হয়ে পরবে। আর সমস্যা তো আসবেই, কারণ সমস্যা ছাড়া মানুষ থাকতে পারে না।

তবে, সমবয়সীদের বিয়েতে একটু ঝামেলা থাকেই। পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর এবং বেশি হলে ১০ বছরের মধ্যে থাকা উচিত। ব্যতিক্রম ঘটনা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আলোচনার মধ্যে আসতে পারে না। ব্যতিক্রম সবসময়ই ব্যতিক্রম। তাই কিছু সমবয়সী দম্পতিও হতে পারেন দারুণ সুখী।জীবনের সর্বাঙ্গীণ সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতায় সমান ভাগীদার খোঁজা। তাই সমবয়সীদের মাঝে বিয়ের ব্যাপারটা ইদানিং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

একইসঙ্গে পড়াশুনা বা চাকরি করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা। সমবয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করা যায়। নিজের ভালোলাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গে মিলে যায় সহজেই। বিষয়গুলো আবার সব সময় একই রকম থাকে না। কখনও পড়তে হয় দারুণ বিপাকে। তাইতো অনেক অভিভাবকই মেনে নিতে পারেন না ব্যাপারটা। সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখতে পায়, যা বিষিয়ে তুলতে পারে দাম্পত্য জীবনে।

অনেক সময় দেখা যায়, সমবয়সী পুরুষ নারীর কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। যেহেতু নারীটি ওই পুরুষ থেকে পরিণতমনস্ক, সেই কারণে তার থাকে দিদিগিরি। অচিরেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের সংঘাত। আবার এমনো হয়, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা মেয়েটির নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না পুরুষটির। মেয়েদের যেহেতু পারিপার্শ্বিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি।

ছেলেটির তুলনায় মেয়েটি যখন বেশি সচেতন তখন তা হয় দাম্পত্য জীবনে মতভেদ, জটিলতা ইত্যাদির কারণ হয়। একে অপরকে যথাযথ সম্মান দিতে নারাজ। আবেগের ভাটা পড়লে সম্পর্কের পরণতি হয় ডিভোর্সে।

তবে এই সংঘাতের মধ্যদিয়ে কেউ টিকে গেলে আসে আরেক ঝামেলা। দুজনেরই বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। নারীদের জীবনে এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। নানা স্বাভাবিক সঙ্কট তৈরি হয় এ সময়। সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারায়, স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনিচ্ছা, ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে। একইসঙ্গে চলে মানসিক সমস্যা।

এসবে তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তারা ভাবতে শুরু করে, তার দেয়ার আর কিছু নেই। মনে চলে আসে বিষণ্ণতা। প্রাকৃতিক কারণে আগে পরিণত হওয়ায় নারীকে আগেই বার্ধক্য গ্রাস করে ফেলে।

Comments

comments