পেশি তৈরিতে সাহায্য করবে যেসব খাবার
আপনি কি শরীরকে পেশিবহুল করতে চান? এ জন্য পেশিশক্তি করার ব্যায়াম জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম পেশিকে বড় হতে উদ্দীপ্ত করে।
তবে কেবল বেশি ব্যায়াম করাই আপনার লক্ষ্য পূরণ করবে না। এর পাশাপাশি আপনাকে সঠিক খাবারও খেতে হবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমিডি জানিয়েছে পেশি তৈরির জন্য যেসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি, সেগুলোর কথা।
১. ডিম
ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। এটি পেশি গঠনে সাহায্য করে। এই প্রোটিনে নয়টি জরুরি অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এগুলো পেশির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
ডিমের কুসুম ভিটামিনের ভালো উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে ও ভিটামিন-বি। এই ভিটামিনগুলো বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে এবং চর্বিকে শক্তিতে রূপ দেয়। প্রতিদিন এক অথবা দুটি ডিম খাওয়া পেশি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. মুরগির মাংস
মুরগির মাংস ভালো লিন প্রোটিনের উৎস। এর মধ্যে পেশি বাড়ানোর আরো উপাদান রয়েছে। যেমন : নায়াসিন, ভিটামিন-বি, আয়রন, সেলেনিয়াম ও জিংক। তাই মুরগির মাংস, বিশেষ করে মুরগির বুকের মাংস খেতে পারেন পেশি বাড়াতে চাইলে।
৩. দুধ
পেশি তৈরির জন্য দুধ আরেকটি ভালো খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। রয়েছে ভালো কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি। এগুলো পেশি তৈরির জন্য ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, ব্যায়ামের পর এক গ্লাস দুধ খাওয়া শরীরের বেশ উপকার করে।
৪. পালংশাক
পালংশাক পেশি তৈরির জন্য বেশ ভালো সবজি। এটি পেশি পুনর্গঠনে সাহায্য করে। গবেষণায় বলা হয়, এর মধ্যে থাকা সাইটোয়েকডাইস্টেরয়েডস নামে উপাদান পেশির ২০ ভাগ বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়।
এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম পেশিকে শিথিল করে এবং আয়রন পেশি তৈরিতে সাহায্য করে।
৫. কাঠবাদাম
যাঁরা পেশি বাড়াতে চান, তাঁদের জন্য আরেকটি ভালো পছন্দ হলো কাঠবাদাম। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন-ই পেশির জন্য ভালো।
এটি ফ্রি র্যাডিকেলসের সঙ্গে লড়াই করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও কপার—এগুলো শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।