৪ঠা চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, সোমবার

More results...

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

রোজায় পাইলস রোগীদের জন্য করণীয়

পবিত্র রমজানে ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য সুস্থ থাকা একান্ত প্রয়োজন। তাই এই সময়ের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতন থেকে ব্যবস্থা নিলে সুন্দরভাবে ইবাদত করা সম্ভব। রোজার এই সময়টায় কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়। কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারির সময় থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত আমরা সাধারণত ‘রিচ ফুড’ অর্থাৎ উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খাই। আর সারাদিন পানিও খাওয়া হয় কম। ফলে পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে এই সময় পাইলস ও এনাল ফিসার নামক দুটি রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেতে বেশি দেখা যায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পাইলসকে হেমরোয়েডস বলা হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে এক ধরনের রক্তের গুচ্ছ- যেটা আঙ্গুরের মতো ফুলে যায়। এর ফলে মল ত্যাগ করলে বা মল ত্যাগ না করলেও সেখান থেকে প্রায়ই রক্তপাত হয়। এটিই হচ্ছে পাইলস।

পাইলসে আক্রান্ত রোগীরা কী কী উপায় অবলম্বন করলে সহজেই রোজা রাখতে পারবেন? এ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রফেসর ডা. এস.এম.এ. এরফান, বিভাগীয় প্রধান, সার্জারী বিভাগ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের কলোরেকটাল সার্জারি বিভাগের চীপ কনসালট্যান্ট।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

প্রফেসর ডা. এস.এম.এ. এরফান বলেন, ‘সারাদিন উপবাস থাকায় পানিসহ শাক, সবজি আমরা কম খেয়ে থাকি, ফলে খাবারের এ পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা অনেক আগে থেকেই পাইলস রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত হলো রমজানের রোজা শুরু হওয়ার আগেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা। এর মাধ্যমে তারা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও রোজার সময় আপনি কী কী খাবেন আর কী খাবেন না, এ নিয়ে একটি চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আপনার খাবার নিয়ন্ত্রণে আসবে। আপনি সহজেই এর রোগের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই সময় তৈলাক্ত ও ভাজা পোরা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।’

মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রফেসর ডা. এস.এম.এ. এরফান বলেন, অনেকেই মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করে থাকেন। কিন্তু আমি বলব, আপনি মাংস খান। তবে মাংসের সঙ্গে ফাইবার তথা আশ জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খান।

পাইলস রোগীদের অপারেশনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘যাদের পাইলসের সমস্যা অধিক, তাদের জন্য করণীয় হলো আপারেশন করা। রমজানের আগেই এর চিকিৎসা করিয়ে নেওয়া। তাহলে সুন্দরভাবে তিনি রমজান মাসের সিয়াম সাধনা পালন করতে পারবেন। আর যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদারের এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা নেওয়া দরকার। মনে রাখতে হবে প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।’

Comments

comments