করোনা ঘায়েলের বড় হাতিয়ার ফল-সবজি
এমন কোনো ওষুধ এখনো উদ্ভাবন হয়নি, যেটি রাতারাতি মানুষের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলবে। তবে স্বস্তির খবর হলো, এমন অনেক উপায় আছে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যাভ্যাস।
করোনাভাইরাস মোকাবেলার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে ব্রিটিশ সরকারকে একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে তাঁরা অনুরোধ জানিয়েছেন, সরকার যাতে জনগণকে খাদ্যাভাস বদলানোর পরামর্শ দেয়। এই অভ্যাসেই করোনার হাত থেকে বেঁচে যেতে পারে লাখ লাখ মানুষ।
গবেষকরা বলছেন, এটা সন্দেহাতীত যে খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক আছে। আর একজন ব্যক্তিকে একটি ভাইরাস কতটুকু কাবু করতে পারবে, সেটা নির্ভর করে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। ব্রিটিশ গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফল আর শাকসবজি খেলেই কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না—এটা বলার সুযোগ নেই। কিন্তু এটা বলার সুযোগ আছে, পর্যাপ্ত ফল আর শাকসবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী হলে কোনো ভাইরাস শরীরের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়লেও কোনো উপসর্গ ছিল না। এর একটা কারণ হলো, ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী।
করোনাভাইরাসে বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি। অন্যদিকে ৯ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর এখনো মৃত্যু হয়নি। এর কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বয়স্কদের তুলনায় শক্তিশালী। এ কারণে ভাইরাসটি অল্প বয়স্কদের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে শ্বেত রক্তকণিকার ওপর। এই শ্বেত রক্তকণিকা থেকেই উৎপন্ন হয় অ্যান্টিবডি, যা করোনাভাইরাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলমূল, শাকসবজি, তৈলাক্ত মাছসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার স্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলেও করোনাভাইরাস মোকাবেলা সহজ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : ডেইলি মেইল।