কিছু ফ্যাটযুক্ত খাবার যা খুবই স্বাস্থ্যকর
সাধারণত চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার আমরা এড়িয়ে চলি। এটি আসলে ভুল ধারণা। কারণ সব ফ্যাট জাতীয় খাবারই শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। ফ্যাট অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মতোই একটি খাদ্য উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু চর্বিযুক্ত খাবারের কতা বলা হলো যা অবশ্যই খাওয়া উচিত।
অ্যাভোকাডো
সব ফলই দারুণ পুষ্টিকর। এদের মধ্যে একটি অ্যাভোকাডো। বিদেশি ফল হলেও এখন এর পরিচিতি বেড়েছে। এর প্রায় ৭৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এছাড়া কলার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি পটাশিয়াম মেলে এই ফলে। আবার ভক্ষণযোগ্য আঁশের দুর্দান্ত উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উপকারি কোলেস্টেরল রয়েছে যা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে আনে।
পনির
পনির চর্বিযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্যগুলোর একটি। ফ্যাট ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২ ও ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম সহ অনন্য পুষ্টিগুন রয়েছে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
ডিম
ডিম পছন্দ হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। প্রোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস ডিম। ওজন কমাতে এর গুরুত্বের কথা অনেকেই জানেন না। ডিমের মধ্যে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের সুরক্ষা দেয়।
সামুদ্রিক মাছ
চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির চমৎকার উৎস এসব মাছ।
বাদাম
বাদাম স্বাস্থ্যকর খাদ্যগুলোর একটি। বাদাম ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিনের উৎস। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে।
অলিভ অয়েল
অলিভ ওয়েলেও চর্বি থাকে এবং তা স্বাস্থ্যকর। অলিভ অয়েলে ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’ পাওয়া যায়। অলিভ ওয়েল হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। অনেক স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ এই তেল।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। এর উপকারিতার শেষ নেই। ডার্ক চকোলেটে ৬৫ শতাংশ ফ্যাট রয়েছে। এছাড়াও ১১ শতাংশ ফাইবার, ৫০ শতাংশ আরডিএ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ পাবেন এতে। চকোলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।