পটলের ঔষধি গুনাগুণ!
আমরা সকলেই পটলের সঙ্গে পরিচিত। পটলের ইংরেজী নাম Multitude। পটলের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এই সবজিটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আয়ুর্বেদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়।
দেখা যায়, নেপালে অসুস্থ্য রোগীদের পটলের স্যুপ খাওয়ানো হয়। আমাদের দেশে পটল ভাজি, পটলের দোলমা, মাছ বা মাংসের সঙ্গে বা অন্য সবজির সঙ্গে রান্না করা হয়। দক্ষিণ এশিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আলুর সঙ্গে রান্না করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় পটল বৈচিত্রময় রান্নায় ব্যবহার করা হয় যেমন- স্টার ফ্রাই, নারিকেল দুধে অথবা ভাপে সিদ্ধ করে রান্না করা হয়। এটি এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়। সাধারণত গ্রীষ্মের সময় পাওয়া যায় এই সবজিটি। আসুন আজ আমরা জানবো পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
হজমের উন্নতি ঘটায়:
এই সবুজ রঙের সবজিটিতে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে। পটল সঙ্গে ধনে পাতা হালকা ছেঁচে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি ৩ বারে পান করুন। হজম শক্তিতে বেশ উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিণ্য নিরাময়ে:
পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিণ্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে।
ওজন কমতে সাহায্য করে:
পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। পটলের বীচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদরোগ ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে না। তাই নিয়মিত বেশী করে পটল খান।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ
নিয়মিত পটল খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। ফলে ত্বক ভাল থাকে। এর ফলে ত্বকের যত্নেও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে।
কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়:
পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে।
ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে:
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা কমতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল।
ত্বকের জন্য উপকারী:
পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল।
ঠাণ্ডা জনিত সমস্যায় পটল:
ফ্লু জনিত সমস্যা যেমনঃ- জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যায় আজকাল পটল ব্যাবহার করা হয়।
মাথা ব্যাথায় পটল:
সবুজ পটলের রস মাথায় লাগালে মাথা ব্যাথা দূর হবে এবং যাদের অল্প বয়সে টাকের সমস্যা রয়েছে তাদের টাক সমস্যা দূর হবে।