পিঠের ব্যথার কারণ ও করণীয়
পিঠে আঘাতলাগা বা মেরুদণ্ডের সমস্যার জন্য শুধু নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন কাজের জন্যও হতে পারে পিঠের ব্যথা বা ব্যাকপেইন। কোনো কাজগুলো বাড়াচ্ছে আপনার পিঠের ব্যথা? কী করলেই বা মুক্তি মিলবে এ ব্যথা থেকে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভারি বস্তু উঠানোর ফলে:
পিঠে ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ভারী বস্তু উঠা-নামা করা। এক হাতে ভারি বস্তু বহন করলে বা সঠিক নিয়ম না মেনে ভারি বস্তু উঠালে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এমনকি ভারি বস্তু টানার ফলেও পিঠের ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
করণীয়:
ভারি বস্তু তুলতে চাইলে দাঁড়ানো অবস্থায় না তুলে হাঁটু মুড়ে বসে তুলুন। এক কাঁধে ভারি ব্যাগ বহন করা থেকে বিরত থকুন। প্রয়োজনে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
অসম রাস্তায় গাড়ি চালানোর কারণে:
উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি চালানোর ফলে পিঠের ওপর চাপ পড়ে যা থেকে হতে পারে পিঠের ব্যথা। এমনকি অসম রাস্তায় দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করার ফলেও পিঠের ব্যথা হতে পারে।
করণীয়:
যদি আপনি নিজেই গাড়ি চালান তবে দীর্ঘ ভ্রমণে কিছু সময় পরপর অন্তত মিনিট পাঁচেকের বিরতি নিন। এতে পিঠ ও মেরুদণ্ডে কম চাপ পড়বে। বাসে ভ্রমণ করলে সিটটিকে এডজাস্ট করে নিন।
দীর্ঘ সময় একটানা বসে থাকলে:
দীর্ঘ সময় একটানা বসে থাকলে বিশেষ করে যারা ডেস্ক জব করেন তাদের পিঠের ব্যথা হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। ৬-৮ ঘণ্টা একটানা বসে থাকতে হলে মেরুদণ্ডের ওপর মাত্রাহীন চাপ পড়ে এবং এর ফলে পিঠে জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন হয়। ফলে পিঠের ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
করণীয়:
পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এক ঘন্টা পরপর চেয়ার ছেড়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। সুযোগ পেলে কিছু সহজ ব্যায়ামও করে নিতে পারেন।
অতিরিক্ত নরম তোশকে ঘুমানো:
তুলতুলে নরম বিছানায় ঘুমাতে কে না পছন্দ করে, কিন্তু জানেন কি এ কারণেই হতে পারে আপনার পিঠের ব্যথা? এমনকি মেরুদণ্ডের হাড়ের আকৃতিতে পরিবর্তনও ঘটতে পারে এ কারণে। নরম বিছানায় শোয়ার ফলে পেশী, লিগামেন্ট ও জয়েন্টের উপর ও চাপ পড়ে।
করণীয়:
খুব বেশি শক্ত তোশকে ঘুমালেও পিঠের ব্যথা হতে পারে। তাই, খুব বেশি নরম নয় আবার খুব বেশি শক্তও নয় এমন তোশক বেছে নিন। তাছাড়াও ধূমপান থেকে বিরত থাকলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।