১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

স্বাস্থ্যগত যে ভুলগুলো আমরা প্রতিনিয়ত করি

দীর্ঘ দিনের এমন বেশ কিছু অভ্যাস আছে যা আমাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে এবং এই অভ্যাস গুলো যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তাও বুঝতে পারিনা। আমাদের নিজেদের অসচেতনতার ফলে অথবা সামাজিক কিছু ভুল ধারণার কারণে তৈরি হওয়া ভুল অভ্যাসগুলোর কারণে ঔষধ গ্রহণের ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নিই আমাদের প্রতিনিয়ত করে যাওয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুলগুলোকে জেনে নেই।

তাড়াহুড়া করে কমলার জুস পান করা:
প্রচলিত ভুল ধারণা হচ্ছে, কমলার জুস তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। কিন্তু কমলার জুসে যে ভিটামিন সি থাকে তা যদি ঠাণ্ডা জায়গায় রাখা হয় তাহলে ১২ ঘন্টা ভালো থাকে। তবে তাজা জুস সবসময়ই সুস্বাদু।

পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া:
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই শুনি কিন্তু কত জন মানুষ এটা মেনে চলি? পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মাংস পেশীর এনার্জি বৃদ্ধি পায়, ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পানি কিডনি পরিষ্কার রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। পানি খেলে ক্লান্তি কমে এবং তরতাজা থাকা যায়। এর পরেও দেখা যায় হাই ক্যালরি কোল্ড ড্রিঙ্কসের প্রতিই সবার ঝোঁক বেশি।

সবজির চেয়ে মাংস বেশি খাওয়া:
মাংস এসিডিক জাতিয় খাদ্য। তাই আমাদের শরীরের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখার জন্য সমপরিমাণ বা বেশি পরিমাণ অ্যাল্কালাইন/ ক্ষারীয় খাদ্য যেমন- ফল ও সবজি, গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সকালের নাস্তা বাদ দেয়া:
সকালের নাস্তা না খেয়ে দিনের কাজ শুরু করা, আর কম জ্বালানী নিয়ে গাড়ি চালানো এক কথা। প্রথম দিকে এটা ভালো লাগলেও আস্তে আস্তে আপনি অবসন্ন অনুভব করবেন এবং এর ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কর্মক্ষম ও সুস্থতার জন্য নিয়মিত সকালের নাস্তা খান।

হঠাৎ ঔষধ বন্ধ করে দেয়া:
একটু সুস্থ অনুভব করি তখনই আমরা ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেই। কিন্তু এটা খুব খারাপ একটা অভ্যাস। হঠাৎ ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে আবারো ওই অসুখটি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং মাথা ব্যাথার সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাওয়া বন্ধ করবেন না।

বেশি ক্যফেইন গ্রহণ করা:
বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করলে অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ডকে অনেক বেশি উদ্দীপিত করে ফলে সব সময় এদের সুইচ অন থাকে যার ফলে মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়, হার্ট রেট বৃদ্ধি পায়, ঘুম কমে যায় এবং পেটের সমস্যা হয়। কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি মেনে চলুন, দিনে যখন তখন চা বা কফি পান না করে নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত পরিমাণে পান করুন।

তাছাড়াও আরো যে ভুল গুলো আমরা করে থাকি সেটা হলো- রাত ১০.৩০ মিনিট এর পরে অফিসের ই-মেইল চেক করা, মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের জিনিষে খাবার গরম করা, জবুথবু হয়ে বসে কাজ করা, অকারণে রাত জাগা, দম চর্চা না করা, কম হাসা, খাওয়ার পর ফ্লস না করা, ২ মিনিট যাবত দাঁত ব্রাশ না করা, খাওয়ার পর পরই ব্রাশ করা ইত্যাদি।

Comments

comments