৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

হৃদরোগ ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত ৪দিন ব্যায়াম

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক গবেষণা বলছে, হৃদপিণ্ডের সাথে যুক্ত প্রধান ধমনীগুলোর আড়ষ্ট হয়ে পড়া রোধে সপ্তাহে অন্তত চারদিন শরীরচর্চার প্রয়োজন। এতে হৃদপিণ্ড নতুন করে সতেজ হয়ে উঠতে পারে।নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন শরীরচর্চায় সবগুলো ধমনীকে সতেজ রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রয়োজন অন্তত চারদিন। পাঁচদিন করতে পারলে সবচেয়ে ভালো কাজ দেবে।

গবেষকরা বলছেন, যে কোনো ধরণের শরীরচর্চা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।কিন্তু উপযুক্ত বয়সে প্রয়োজনীয় মাত্রায় শরীরচর্চা করলে হৃদপিণ্ড,ধমনী এবং শিরা-উপশিরা নতুন করে সতেজ করে তোলা সম্ভব।ষাটোর্ধ বয়সের ১০০ মানুষের ওপর এই গবেষণার পর এর ফলাফল জার্নাল অব ফিজিওলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ এবং পুনরায় বের করে তা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভূমিকা পালন করে বেশ কিছু ধমনী।

এই ধমনীগুলোর আকৃতি নলের মত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এগুলো আড়ষ্ট হতে থাকে। এছাড়া, বিশৃঙ্খল এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ধমনীতে চর্বির আস্তরণ পড়তে শুরু করে।যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন (৩০ মিনিট করে) শরীরচর্চা করলে মাঝামাঝি আকৃতির যেসব ধমনী মাথায় ও ঘাড়ে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলো সতেজ থাকে।

কিন্তু সপ্তাহে চার থেকে পাঁচদিন শরীরচর্চা করলে মাঝারি ধমনীগুলোর সাথে সাথে প্রধান যে ধমনীগুলো বুকে এবং পেটে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলোও সতেজ থাকে।তবে এই গবেষণায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা এবং সামাজিক অবস্থানের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বলা হয়, এ বিষয়গুলোও দেহের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ইনস্টিটিউট অব এক্সারসাইজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিনের ড বেঞ্জামিন লেভিন, যিনি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেন, “আমরা এখন বুঝতে পারছি উপযুক্ত শরীরচর্চা করে হৃদপিণ্ড এবং রক্তবাহী নালীর দুরবস্থাকে বদলে ফেলা যায়।”

তবে তিনি বলেন, ৭০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা বেশি দেরী হয়ে যায়। “ঐ বয়সে হৃদপিণ্ডের অবস্থা বদল করা সম্ভব নয়।”
সূত্র-বিবিসি বাংলা

Comments

comments