কিডনি ভাল রাখে যে সাতটি খাবার
কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের পানি সরবরাহ ঠিক রেখে দূষিত রক্ত দূর করে থাকে। একটু অসতর্কতা হলে এই অঙ্গটির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে কিডনি ড্যামেজের মত সমস্যাও হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতন হলে কিডনির সমস্যা অনেকেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। এই খাবারগুলোকে সুপার ফুড বলা হয়।
ফুলকপি এবং বাঁধাকপি
ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন সি, ফাইবার রয়েছে। যা লিভার এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ সুস্থ রাখে। শুধু ফুলকপি নয় বাঁধাকপিও কিউনির জন্য বেশ উপকারী। এর ভিটামিন বি৬, সি, কে, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড কিউনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আপেল
আপেল পেকটিনের অন্যতম উৎস। এর দ্রবণীয় আঁশ কোলেস্টেরল এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আপেলের খোসায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা রান্না করে অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
রসূন
রসূন অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসূন খাওয়া, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে দুই ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার রয়েছে যা অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি এবং অ্যান্টি ক্যান্সার হিসেবে কাজ করে। এটি হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিউনি সুস্থ রাখে।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং অ্যামিনো এসিড আছে যা কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। ডিম সিদ্ধ করে বা অমলেট করে খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ ডিমের সাদা অংশ শুধু।
মাছ
কিডনিকে সুস্থ রাখার অন্যতম খাবার হল মাছ। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ওমেগা থ্রি এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি ফ্যাট আছে যা কিডনিকে সুস্থ রাখে। আমেরিকান ডায়াবেটিকস এসোসিয়েশনের মতে দিনের খাদ্যতালিকায় দুই থেকে তিন বেলা মাছ রাখুন। এটি আপনার হৃদযন্ত্র ঠিক রাখার পাশপাশি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনোয়েড রয়েছে। যা রক্তের চর্বি দূর করে থাকে। এর কোয়ারসেটিন উপাদনা যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। পেঁয়াজে পটাশিয়াম,প্রোটিন আছে যা কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী।