যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে মৃত্যু
নতুন বান্ধবীকে খুশি করতে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করেছিলেন তিন সন্তানের জনক এক নাইজেরিয়ান। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর ‘টানা লিঙ্গোত্থান এবং বীর্যপাত না হওয়ার চাপ’ সইতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন! স্যামসন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দেশটির ডেল্টা স্টেটের একটি হোটেল কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নাইজেরিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মতে, স্যামসন ম্যানপাওয়ার নামের একটি ওষুধ সেবন করেছিলেন। ওষুধটি ভায়াগ্রার মতোই প্রভাব ফেলে।
পাঞ্চ নামের একটি নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গম করার পর তিনি বীর্যপাত ঘটাতে ও লিঙ্গোত্থান থামাতে পারছিলেন না। আর এই টানা লিঙ্গোত্থানের চাপ সামলাতে না পেরেই তার মৃত্যু হয়।
‘তিনি ওষুধটির ক্ষমতায় পরাভুত হয়েছিলেন। আর এই প্রথম তিনি এ ধরনের ওষুধ সেবন করেন। ‘
এর আগে তিনি মাস ধরে তিনি ওই বান্ধবীকে বিছানায় নেওয়ার জন্য পটানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ঘটনার দিন ওই বান্ধবীকে হোটেল কক্ষে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা দুজন একটি বিয়ার পার্লারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় স্যামসন যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে বান্ধবীকে সন্তুষ্ট করার পরিকল্পনা বিষয়ে গর্ব করছিলেন।
ওই বান্ধবীর সঙ্গে হোটেল কক্ষে যাওয়ার আগে স্যামসন প্রচুর মদও পান করেছিলেন। যদিও তিনি মদপানে অভ্যস্ত ছিলেন না। স্যামসনের মৃত্যুর পর তার বান্ধবী হোটেল কক্ষ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করার পর উগবোরিকোরো নামের একটি থানার মর্গে নিয়ে রেখেছে। স্যামসনকে যথাযথভাবে দাফন করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। এ বিষয়ে স্যামসনের পরিবারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই পুলিশ তার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। সূত্র : ডেইলি মেইল