মহিলাদের ব্রেস্ট সাইজ পাল্টায় কেন জানেন?
মেয়েদের স্তনের আকার ও আয়তন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে কিছু কারণ থাকে প্রাকৃতিক আর কিছু অভ্যাসজনিত।
মেয়েদের শরীর নানা পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এক একটি পর্যায়ে স্তনের আকার-আয়তন একেক রকম থাকে। কিন্তু মেয়েদের লাইফস্টাইলের জন্যেও স্তনের আকারে বদল আসতে পারে—
১) লিউটিয়াল পর্যায়ে অর্থাৎ মাসিক হওয়ার ঠিক আগে আগে, স্তনে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রাও বাড়ে। ফলস্বরূপ এই সময়ে স্তন অনেকটা বেশি ভারী লাগে।
২) মাসিকের দু’টি পর্যায় থাকে; ফলিকিউলার এবং লিউটিয়াল। একটি পিরিয়ড শেষ হওয়ার ঠিক পরের পাঁচ-সাতদিন, মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেক কমে যায়। মাসের এই সময়টায় স্তনের ওজন সবচেয়ে কম থাকে।
৩) যৌনতার সময়েও স্তন স্ফীত হয়। যৌন উত্তেজনার ফলে রক্তচাপ এবং হার্ট রেট দুই’ই বাড়ে। এর ফলে স্তন স্ফীত হয় এবং স্তনের শিরাগুলিও আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
৪) গর্ভধারণের সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যায় স্তনে। স্তন্যদানের জন্য এই সময় প্রকৃতি শরীরকে তৈরি করে। এই সময়ে স্তনের আকার-আয়তন তো বাড়েই। দুগ্ধগ্রন্থি সক্রিয় হওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ভারী হয়ে যায় স্তন।
৫) বেশ কিছু এক্সারসাইজ রয়েছে যা নিয়মিত করলে স্তনের কাপ সাইজ বেড়ে যায়। তবে তা ছাড়া সাধারণ ফ্রি-হ্যান্ডে খুব একটা পরিবর্তন হয় না স্তনের আকারের।
৬) গর্ভনিরোধক পিলে ইস্ট্রোজেন থাকে। যাঁরা নিয়মিত এই পিল খেতে থাকেন, তাঁদের স্তনের আকার-আয়তন দু’টিই অনেকটা বেড়ে যায়।
৭) মেনোপজের পরে শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ অনেক কমে যায়। তাই এই সময়ে স্তনের কাপ সাইজ কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু আদতে তা হয় না। দেখা গিয়েছে, বরং হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে শরীরের মাঝামাঝি অংশে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে এবং ফলে স্তনও ভারী হয়।
৮) কিছু কিছু ডিপ্রেশনের ওষুধ রয়েছে যা দীর্ঘদিন ধরে খেলে স্তন ফুলে যায় এবং অনেক সময়ে ব্যথাও হতে পারে। কারও কারও স্তনবৃন্ত থেকে দুধের মতো ক্ষরণও হয়। এই সময় স্বাভাবিকভাবেই স্তনের আয়তন বাড়ে। তবে ওষুধ বন্ধ করে দিলে স্তনের আয়তন আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৯) যৌনতার সময়ে খুব বেশি স্তনমর্দনেও স্তনের আয়তন বেড়ে যায় এবং অনেক সময়ে এই কারণে অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যেও ব্রেস্ট স্যাগিংয়ের সমস্যা দেখা যায়।
১০) যে কোনও ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারির মাধ্যমে স্তনের আকার বাড়ানো যায়। আবার কিছু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে মাসাজের মাধ্যমেও বাড়ানো যায় স্তনের আকার-আয়তন, তবে তা সময়সাপেক্ষ।