শিশুর স্থূলতা কমাতে কী করবেন?
একশ্রেণির বাবা-মা আছেন, যাঁরা সন্তানকে স্থূল করার জন্য ব্যস্ত। তাঁদের ধারণা, মোটা শিশু মানেই সুস্থ শিশু। এ ধরনের বাবা-মা সত্যিকার অর্থে তাঁদের সন্তানকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। স্থূলতা কখনোই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়, বরং সুস্বাস্থ্যের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। শিশুর স্থূলতার ক্ষেত্রে তার নিজের চেয়ে বাবা-মায়ের ভূমিকা বেশি।
স্থূলতার কারণ
বংশগত কারণে অনেক শিশু মোটা বা স্থূল হতে পারে। তবে স্থূল হওয়ার প্রধান কারণ হলো শারীরিক পরিশ্রম কম করা এবং অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করা। কিছু কিছু অসুখের জন্যও শিশু স্থূল হতে পারে, যেমন—থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা লোপ, কুশিংস সিনড্রোম প্রভৃতি।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
স্থূল শিশুর কী কী সমস্যা হতে পারে?
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মতো স্থূল শিশুদেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন :
- উচ্চ রক্তচাপ
- শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অসুবিধা
- পিত্তথলিতে পাথর
- ডায়রিয়া
- রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য
- হৃদরোগ
- ডায়াবেটিস
- অস্থিসন্ধির প্রদাহ
- ক্লান্তি
স্থূলতা রোধের উপায় কী?
এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকাই প্রধান। তাদের খাদ্য ক্যালরি ও শারীরিক পরিশ্রম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং সে অনুযায়ী শিশুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্ন নিতে হবে।
১. খাবার দেবেন বুঝেশুনে
বাবা-মায়ের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে শিশু অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার না খায়। তাকে অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার কম এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি দিতে হবে। শিশুকে তেল কিংবা ঘিয়ে ভাজা খাবার কম করে দিতে হবে। শিশুকে খাওয়াবেন নিয়ম করে। পরিমাণও নির্ধারণ করে দেবেন। মজাদার খাবার হলেই তা বেশি দেবেন, এটা ঠিক নয়। অনেক খাবারে শিশুর আসক্তি জন্মাতে পারে এবং তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
২. শিশুকে ব্যায়াম করান
শারীরিক পরিশ্রম না করলে সে স্থূল হতে বাধ্য। শিশু যত বেশি স্থূল হবে, ততই সে অলস হবে এবং তার কর্মস্পৃহা কমে যাবে। তাই শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলা ও ব্যায়াম করতে উৎসাহ দিতে হবে। শুধু খেলাধুলা ও ব্যায়াম নয়, গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজেও তাদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। শিশুর জন্য ভালো ব্যায়াম হলো দৌড়ানো, ফুটবল খেলা, সাঁতার কাটা, টেনিস খেলা।
লেখক : স্বাস্থ্য নিবন্ধকার, কথাসাহিত্যিক ও সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: এনটিভিবিডি