৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা এবং এর কারণসমূহ ।

বীর্যপাতের সমস্যা-কারণ
বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন কারণে বীর্যপাতের বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় শারীরিক বা মানসিক কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। যেমনঃ যদি কারও কোন শারীরিক সমস্যার কারণে পুরুষাঙ্গ সুদৃঢ় করে রাখতে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে তা থেকে তৈরি হওয়া উদ্বেগের কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে।

দ্রুত বীর্যপাত (Premature Ejaculation) 

১) প্রাইমারি (আজীবনের) প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন (Primary (lifelong) premature ejaculation)-এর বিভিন্ন কারণ নিচে উল্লেখ করা হল।

1. কন্ডিশনিং বা অভ্যেস (Conditioning)
অনেক ডাক্তার মনে করেন প্রথম দিকের কিছু যৌন অভিজ্ঞতার কারনে পরবর্তী কালে সমস্যা হতে পারে। যেমন কোন কিশোর যদি ধরা পড়ার ভয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে অভ্যস্ত হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী কালে এই অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসাটা কঠিন হতে পারে।

2. তীব্র বেদনাদায়ক কোন যৌন অভিজ্ঞতা (Traumatic sexual experiences) কম বয়সে কোন বেদনাদায়ক যৌন অভিজ্ঞতার স্মৃতি থাকলে সারা জীবন তার প্রভাবে যৌন বিষয়ক উদ্বেগ এবং দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে। এই অভিজ্ঞতাগুলো হস্তমৈথুনের সময় ধরা পড়া থেকে শুরু করে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

3. লালন-পালন যে সব ব্যক্তি কঠোর শাসনের মধ্যে বড় হয়, যেখানে যৌনতাকে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে (যেমনঃ বিয়েরপর) যথাযথ মনে করা হয়, তারা সঙ্গমের সময় সহজ বোধ করতে পারেন না বা যৌনক্রিয়া যে কোন পাপ নয় এই বোধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন না।

4. জৈবিক কারন (Biological reasons) সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাইমারি প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশনের পেছনে জৈবিক কারন থাকতে পারে। কোন মানুষের পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যার কারনে স্নায়ু সঙ্কেতের সাধারন প্যাটার্নের পরিবর্তন ঘটলে তাদের পুরুষাঙ্গ অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং অল্প উত্তেজনাতেই বীর্যপাত ঘটে।

5. জেনেটিক প্রভাব (Genetic influences) গবেষণায় দেখা যায় যে সব পুরুষের বাবা, ভাই বা ছেলের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা আছে তাদের দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে জেনেটিক সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২) সেকেন্ডারি প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকুলেশন (Secondary (acquired) premature ejaculation)
যাদের আগে ছিলনা কিন্তু এখন দ্রুত বীর্যপাত ঘটার সমস্যাটি আছে তাদের, এটি শারীরিক বা মানসিক কারণে হতে পারে।
সাধারন শারীরিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

1. ডায়াবেটিস (diabetes)

2. মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (multiple sclerosis)

3. প্রোস্টেটের অসুখ (prostate disease)

4. উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure)

5. থায়রয়েডের সমস্যা (অতিরিক্ত বা অল্প সচল থায়রয়েড)

6. মাদক সেবন

7. অতিরিক্ত মদ্যপান

8. মদ্যপান করলে ছেলেদেরকে দিনে তিন থেকে চার ইউনিট এবং মেয়েদেরকে দিনে দুই থেকে তিন ইউনিট মদ্যপান করার পরামর্শ দেয়া হয়।

সাধারন মানসিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

1. বিষণ্ণতা (depression)

2. মানসিক চাপ (stress)

3. যৌন বা আবেগের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন অমীমাংসিত বিষয়

4. যৌন সক্ষমতার বিষয়ে উদ্বেগ (এটি কোন নতুন সম্পর্ক শুরুর সময় বা আগে কোন যৌন সমস্যা হয়ে থাকলে বেশি দেখা যায়)

২. দেরিতে বীর্যপাত (Delayed ejaculation)

দেরিতে বীর্যপাতের সমস্যাও শারীরিক বা মানসিক কারনে হতে পারে। দেরিতে বীর্যপাতের মানসিক কারণগুলো দ্রুত বীর্যপাতের কারণগুলোর মতইঃ বেদনাদায়ক পূর্ব অভিজ্ঞতা, কঠোর শাসনে বড় হওয়া, সম্পর্কের টানাপড়েন, মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা।

দেরিতে বীর্যপাতের শারীরিক কারনঃ

1. ডায়াবেটিস (সাধারণত টাইপ-১ ডায়াবেটিস)

2. স্পাইনাল কর্ডে কোন ধরনের আঘাত (spinal cord injuries)

3. মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (multiple sclerosis)

4. মুত্রাশয় বা প্রস্টেটে সার্জারি

5. বয়স বেড়ে যাওয়া

বেশ কিছু ঔষুধের কারণে দেরিতে বীর্যপাতের সমস্যাটি হয়ঃ

1. সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরের মত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (antidepressants, particularly selective serotonin reuptake inhibitors (SSRIs))

2. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, যেমনঃ বেটা ব্লকার (beta-blockers)

3. সাইকোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিসাইকোটিকস (antipsychotics)

4. মাংসপেশি শিথিল করার ওষুধ muscle relaxants,

5. শক্তিশালী বেদনানাশক, যেমনঃ মেথাডন (methadone; এটি হেরোইনে আসক্তদের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়)

৩. উল্টো দিকে বীর্যপাত (Retrograde ejaculation) 

মূত্রাশয় যেখানে ইউরেথ্রার সাথে যুক্ত থাকে তার চারপাশের স্নায়ু বা পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে উল্টো দিকে বীর্যপাত ঘটার সমস্যাটি হতে পারে. বীর্যপাতের সময় অণ্ডকোষ থেকে বীর্য বের করে ইউরেথ্রা (urethra; এটি দিয়ে প্রস্রাব ও বীর্য বাহিত হয়) দিয়ে ঠেলে ফেলা হয়। এটি আপনার মূত্রাশয়ের মুখের চারপাশের পেশি, যেটি অর্গাজম ঘটার সময় শক্ত হয়ে বন্ধ হয়ে থাকে, তার কারণে মূত্রাশয়ে প্রবেশ করতে পারেনা। তবে এই পেশি বা স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূত্রাশয়ের মুখ বন্ধ হতে পারে না, যার কারনে বীর্য বাইরে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে ইউরেথ্রা দিয়ে মূত্রাশয়ে চলে যায়। প্রস্টেট গ্রন্থি বা মূত্রাশয়ের সার্জারি উল্টো দিকে বীর্যপাতের প্রধান কারণ। এর অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, এবং আলফা ব্লকার নামের এক ধরনের ওষুধ, যেটি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

সূত্র: ইন্টারনেট

Comments

comments