হাঁপানির কারণ…
হাপানি অত্যন্ত কষ্টকর একটি রোগ। হাঁপানি রোগীর কষ্ট একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে সহ্য করাও অনেকটা কষ্টকর। হাঁপানি রোগীরা বসতে পারে না, শুতে পারে না, ঠিকমতো খেতেও পারে না। কিন্তু এই হাঁপানি রোগ কেন হয়? কি কি কারণে হয়ে সেগুলো জেনে এ রোগ থেকে সতর্ক হতে পারেন। তাই হাঁপানি রোগ সম্পর্কে জেনে নিন-
হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলো: খাবার কিংবা ধুলোবালির কারণে এলার্জি হয়ে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে। এছাড়াও ধুলোবালি অক্সিজেন বহনকারী নালীগুলোর পথও সংকুচিত করে দেয়। ফলে নিঃশ্বাস বা অক্সিজেন নিতে কষ্ট হয়। যার কারণে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সমস্যা হয়ে থাকে। হাঁপানির একটা বড় কারণ হলো এলার্জির সমস্যা। এলার্জি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন: অনেক সময় রান্না ঘরে রান্না করলেও অনেক হাঁচি হয়ে থাকে। এছাড়াও বাইরের ধুলোবালি, ফুলের রেনু, ঝাঝালো গন্ধযুক্ত পারফিউম থেকে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এই এলার্জির পরিমাণ বেড়েই হাঁপানির সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু ওষুধের সাইড ইফেক্টের কারণেও হাপানি হতে পারে। কোনো ওষুধ খেলে যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ধূমপানের কারণেও হাঁপানি বা এজমা জাতীয় সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় যে ধূমপান করে সে তো আক্রান্ত হবেই তার সঙ্গে অধুমপানকারী থাকলে তারও হাঁপানি সমস্যায় আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজকাল অনেক নারীরাও মহিলারাও ধূমপান করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় কখনও ধূমপান করা উচিত নয়। তবে পেটের সন্তান হাঁপানি সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে। অনেক বেশি জ্বর, সর্দি কাশি ও বেশি পরিমাণে ঠান্ডা লাগলেও হাঁপানির সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও পারিবারিকভাবেও হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবারের কারো হাঁপানি বা এজমার সমস্যা থাকলে অন্যরাও আক্রন্ত হতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকে হাঁপানির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, কোল্ড ড্রিংস পানের কারণেও অনেক সময় হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুডের কারণেও হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।