অকেজো যকৃৎ সারবে ওষুধে!
মানবদেহের যকৃতের আছে নিজেকে সারিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা। প্রয়োজন পড়লে সেটি নিজেকে মেরামত করে নেয়। কিন্তু আঘাত বা কোনো ধরনের ওষুধ বা মাদক অপরিমিত মাত্রায় সেবনের কারণে অনেক সময় যকৃৎ হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রতিস্থাপনের পরিবর্তে ওষুধ দিয়ে যকৃৎ সারা যেতে পারে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানান, ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এমন একটি ওষুধ ইঁদুরের শরীরে ব্যবহার করে তাঁরা সফল হয়েছেন। এটি দিয়ে যকৃতের নিজেকে সারিয়ে তোলার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গবেষণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এটি পুরো সফল হলে যকৃৎ প্রতিস্থাপন না করে ওষুধ দিয়ে বিকল যকৃৎ সারিয়ে তোলা যাবে। ফলে বিশাল খরচ, প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ দানকারী অনুসন্ধান, লম্বা সময় ধরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তালিকায় ঝুলে থাকা—এসব নানা জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে।
গবেষকরা প্রথমে মানুষের যকৃতের ওপর কাজ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন কেন হঠাৎ সেটি নিজেকে মেরামত করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাঁরা দেখতে পান, ভয়াবহ আঘাতে যকৃতে এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাকে বলা যেতে পারে বার্ধক্যকে অগ্রসর করা। মানবদেহের যখন বয়স হয়ে যায়, তখন তার শরীরের কোষগুলো দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন নতুন কোষ সৃষ্টি হয় না। ফলে মানবদেহ নানা অঙ্গকে আর পুনরুজ্জীবিত বা তাজা করতে পারে না। যে কারণে বুড়ো হয়ে যায় মানুষ। বিজ্ঞানীরা জানান, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করা ওষুধ শিগগিরই মানবদেহে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।