পেট ফোলার ৫ কারণ ও করণীয়
হয়তো আপনি বেশ ভোজনরসিক। খুব দ্রুতও হয়তো খেতে পারেন। এসব স্বভাবের কারণে পেট ফুলে যেতে পারে। কিন্তু না খাওয়ার পরও যদি পেট ফুলে যায়? গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. রবিনে চাটকান তার নতুন ‘দ্য ব্লট কিউর’ বইয়ে পেট ফোলার ৫টি কারণ তুলে ধরেছেন।
১. কৃত্রিম চিনি : এটি নানা দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর একটি খাদ্যপণ্য। পেট ফোরার জন্যেও দায়ী কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক পদার্থ। এই চিনি মলাশয়ে পৌঁছলে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে গাঁজন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। বেশি মাত্রার কৃত্রিম চিনি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। এটি মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।
২. কপি জাতীয় সবজি : ফুলকপি বা বাঁধাকপি এবং এই পরিবারের সবজি দারুণ উপকারী। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম এগুলো। কিন্তু এতে আছে এক ধরনের স্টার্চ যার নাম রেফিনোজ। দেহের পক্ষে এটি হজম করা খুব কঠিন হয়ে যায়। ফলে পেট ফুলে যেতে পারে। এসব সবজি খেতে নিষেধ করেন না চাটকান। তবে এগুলো কম কম খেতে বলেন তিনি।
৩. এনএসএইড : ননস্টেরোডিয়াল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি ওষুধগুলো সংযোগস্থলের ব্যথা প্রশমনে সহায়তা করে। তবে এসব ওষুধ দেহে প্রচুর পরিমাণে তরল ধরে রাখে। ফলে আপনার দেহ ফোলা দেখাতে পারে। বিকল্প হিসাবে ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন নেই এমন ব্যথার ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
৪. সয়া : যাদের দেহে ল্যাকটোজের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাদের জন্যে সয়ার দুধ বেশ উপকারী বলেই মনে হয়। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত সয়া পেট ফোলানোর ওস্তাদ। চাটকান তাই নারকেলের দুধ, চালের দুধ, শণের দুধ বা চিনি ছাড়া আলমন্ডের দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৫. স্পোর্টস ড্রিংকস : খেলাধুলার সময় যে সব পানীয় ব্যবহার করা হয় তা পেট ফোলার অন্যতম কারণ হতে পারে। পানির অভাব ধূর করতে বিশুদ্ধ খাবার পানিই সর্বোত্তম। এ ছাড়া ফ্লেভার ছাড়া ডাবের পানিও দারুণ উপকারী। আর গাছ থেকে পেড়ে আনা ডাব হলে তো কথাই নেই। নানা ধরনের ফলের জুস তো রয়েছেই। সূত্র : ফক্সনিউজ