৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

৮০ ভাগ ট্যাপের পানিতে ক্ষতিকর ই. কোলি ব্যাক্টেরিয়া!

দেশের পাইপ লাইনে সরবরাহকৃত ট্যাপের ৮০ ভাগ পানিতে ক্ষতিকর জীবাণু ই. কোলি পাওয়া গেছে। এই পানির মান পুকুরের পানির মতো উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। সবমিলিয়ে দেশের ব্যবহারযোগ্য পানির ৪১ শতাংশে ক্ষতিকর এই ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ডায়রিয়ার জন্য প্রধানত দায়ী এই ই.কোলি ব্যাক্টেরিয়া মলমূত্র এবং পানির মাধ্যমে ছড়ায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশিত ‘প্রমিজিং প্রগ্রেস: এ ডায়াগনস্টিক অব ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন, হাইজিন অ্যান্ড পভার্টি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম। বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন জুমা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জর্জ জোসেফ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পানি ও স্যানিটেশন খাতের উন্নয়ন করে বাংলাদেশের দারিদ্র্য হার আরো কমিয়ে আনা সম্ভব বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন জুমা সতর্ক করে বলেন, পানি ও স্যানিটেশনের এই অবস্থা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ শৈশবকালীন সময়ে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ বছরের নিচে এদেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিশু খর্বাকায়। তাদের বেড়ে উঠা এবং শিক্ষার সুযোগ তাই সীমিত। বাংলাদেশ পানি ও স্যানিটেশনে অনেক উন্নতি করেছে কিন্তু এর মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি হিসাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে পানি ও স্যানিটেশন খাতে যদি ১ ডলার খরচ করা হয়, সেক্ষেত্রে এর বিপরীতে ৫ ডলার লাভ ফিরে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদেশের ১৩ ভাগ পানির উেস আর্সেনিক পাওয়া গেছে। আর্সেনিকের দূষণ চট্টগ্রাম ও সিলেটে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও বাংলাদেশের পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে লবণাক্ততার সমস্যা রয়েছে যা মূলত দরিদ্র্যদের বেশি ভোগাচ্ছে। এদেশে এক-তৃতীয়াংশ পরিবার দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করেছে বেশ সফলতার সঙ্গেই। কিন্তু এর পরেও দেশের ৫ কোটি মানুষ ভাগাভাগি করে ও নিম্ন মানের টয়লেট ব্যবহার করছে। মাত্র ২৮ ভাগ টয়লেটে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বস্তি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি।

প্রতিবেদনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জর্জ জোসেফ উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের অর্ধেক শিল্প-কারখানায় টয়লেট সুবিধা রয়েছে। শুধু তাই নয়, অর্ধেক স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এক-চতুর্থাংশ মেয়ে মাসিকের সময়ে এই কারণে স্কুলে যায় না। নিরাপদ ও উন্নত টয়লেট সুবিধা করা গেলে এদেশের নারীদের কর্মসংস্থানে উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার অনেক কাজ করেছে। এর পরেও সেসব সমস্যা রয়েছে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশের সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় অনেক মানুষ লবণাক্ত পানির কারণে নানা রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

Comments

comments