যে ৫ ধরনের ব্যথাকে অবহেলা করলেই ক্ষতি!
আমাদের শরীরের নানা জায়গায় মাঝে মধ্যেই ব্যথা হয়। কখনও কম, কখনও বেশি। এসব ব্যথাকে আমরা অধিকাংশ সময়েই তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চাই না। অথচ এ সব ব্যথাই হতে পারে অনেক বড় কোনও সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ, যা ভবিষ্যতে মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাই এ সব ব্যাথাকে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই জেনে নেয়া উচিত, কোন কোন ধরণের ব্যথাকে ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। জেনে নিন, তেমন কিছু শারীরিক ব্যথা সম্পর্কে যেগুলো অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়-
১। আপনার দাঁত ব্যাথার মাত্রা যদি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, মাঝ রাতে গভীর ঘুমেও দাঁত ব্যথার কারণে ভেঙে যায়, তাহলে আপনার দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। দাঁতের ছিদ্রের মাধ্যমে ইনফেকশন মাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে এই ধরণের দাঁত ব্যথা হতে পারে আপনার।
২। হঠাৎ করে যদি মাথায় অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হয় এবং মাথার ব্যথায় দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হতে শুরু করে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করা একেবারেই উচিত হবে না। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কোনও আঘাত, টিউমার ইত্যাদির কারণে মাথায় এ ধরণের অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৩। তলপেটের ডান দিকে ব্যথা যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ি হয় এবং ব্যাথার স্থান যদি ঘন ঘন তল পেটের নানা অংশে ঘোরাফেরা করতে থাকে তাহলে এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসকই বলতে পারবেন, যে এ ক্ষেত্রে অস্ত্রপচার করা কতটা জরুরি বা কখন করা উচিত।
৪। পিঠের মাঝামাঝি জায়গায় ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তিকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত হবে না। কারণ, এগুলো হতে পারে কিডনি বড়সড় সমস্যার অগ্রিম লক্ষণ। কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ইউরিন ইনফেকশনের জন্য এ ধরণের ব্যাথা হতে পারে।
৫। ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে যদি অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি সহজে না কমে, তাহলে বিষয়টা একেবারেই অবহেলা করবেন না। কারণ নানা ধরণের গাইনি সমস্যার কারণে ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।