রোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখবে ফুলকপি
শীতের সময় খাওয়া-দাওয়া আর ঘুরে বেড়ানোতেই মজা। এই সময়েই বাজারে দেখা মেলে নানা রকমের সবজির। এরমধ্যে ফুলকপি অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। চিকিৎসকরা বলেন, ফুলকপির স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। অনেক রোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই ফুলকপি।
জেনে নিন ফুলকপির এমন কিছু গুণাগুণ।
১. ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেসারের উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের। সালফোরাফেন ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। অন্য এক গবেষণায় জানা যায় যে, ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
২. ফুলকপিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি গ্রহণ করলে ভ্রুণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। গবেষণায় নির্দেশ করা হয়েছে যে, স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন।
৩. ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।
৪. ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।
৫. যেহেতু ফুলকপি ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস সেহেতু এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ডস হেলদিয়েস্ট ফুডস এর মতে, ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।
৬. ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, সিনামিক এসিড সহ আরও অনেক উপাদান থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।