৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

শিশুর পেটে ব্যাথায় করণীয়

শিশুদের শরীর অনেক কোমল। তাই তাদের খুব সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। জীবাণুর সংক্রমণ ছাড়াও খাবার, পরিবেশ ইত্যাদি নানা কারণে এসব রোগব্যাধি হতে পারে। শিশুদের একটা খুব পরিচিত সমস্যা হচ্ছে পেটে ব্যাথা। সাধারন হলেও অনেকে আবার শিশুর যে পেটে ব্যাথা বা কোনো সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু বুঝতে অনেক সময় লাগিয়ে ফেলেন। পেটে ব্যাথার থাকতে পারে অনেক কারণ। কারণ সনাক্ত করা গেলে এই সমস্যা থেকেও মিলবে সুস্থতা।

কোষ্ঠকাঠিন্য

যেসব শিশু মাতৃদুগ্ধের পাশাপাশি সদ্য অন্য কঠিন খাবার খেতে শুরু করেছে তাদের পেটে ব্যাথার অন্যতম কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। দুই কিংবা তিনদিন ধরে ঠিকমত পায়খানা না হলে তা পেটের ভেতর জমে থেকে ব্যথার সৃষ্টি করে। এজন্য শিশুকে নরম খাবার দিতে হবে। অবস্থা জটিল হলে শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরলজাতীয় খাবার যেমন সাগুদানা, মাতৃদুগ্ধ বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। এছাড়া কিছু ব্যায়াম করানো যেতে পারে যেমন সাইকেলের মত শিশুর পা দুটোকে চালনা করা।

গ্যাসজনিত ব্যাথা

শিশুদের নানা রকমের খাবার খাওয়ানো শুরু করলে গ্যাসজনিত ব্যাথা একটা বেশ প্রচলিত সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এছাড়া পাকস্থলীর পরিপাকনালীতে গাট মাইক্রোবায়োম নামক ব্যাক্টেরিয়াল কলোনি গড়ে উঠা সম্পূর্ণ হবার আগে (ভয় পাবেন না, এরা উপকারী ব্যাকটেরিয়া) এ সমস্যা দেখা দিতে পারে যা গাট ইমম্যাচিউরিটি নামে পরিচিত।

এ ধরনের ব্যাথার ক্ষেত্রে শিশুর বুকে ও পিঠে হাত দিয়ে মালিশ করলে, তলপেটের দিকে চেপে ধরলে আরামবোধ হয়। তবে ব্যাথা প্রকট হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।

খাবার কিংবা দুধে অ্যালার্জি

শিশুর কোন খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা খাওয়ানোর ফলে পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে গরুর দুধ বা গুড়োদুধের ল্যাক্টজেনের প্রতি অ্যালার্জি থেকে থাকে। অ্যালার্জি আছে বিষয়টা সন্দেহ হলে বা নিশ্চিত হলে তা খাওয়ানো বন্ধ করে দেয়া উচিত।

এধরনের জটিলতায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত অবশ্যই।

ইনফেকশন

পাকস্থলীতে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসজনিত কারণে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে আছে রোটাভাইরাস যা পেটব্যাথার সাথে ডায়রিয়ার কারণ। এছাড়া স্ট্রেস্পটোকক্কাসনামক ব্যাকটেরিয়া, অ্যাডেনোভাইরাস, বটুলিজম এসবের দ্বারাও শিশু পেটব্যাথা ও পেটের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। ইনফেকশনজনিত সমস্যায় বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসায় এসব ইনফেকশন পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

ভ্রমণজনিত অসুস্থতা

অনেক শিশুর মাঝেই ভ্রমণের ফলে খাওয়ায় অরুচি, বমিভাব, পেটেব্যাথা এসব লক্ষণ দেখা দেয়। এধরনের সমস্যায় শিশুকে ভ্রমণের চাপ কাটিয়ে উঠার জন্য সময় দিতে হবে, এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে যাতে একেবারে খালি পেটে কোথাও ভ্রমণ করা না হয়।

শিশুর প্রতি আসলেই একটু বেশি খেয়াল রাখা দরকার কারণ বিপদের মতোই অসুস্থতা কিন্তু বলেকয়ে আসে না। এদিকে আবার শীত ও চলে এলো। অতএব নিজেও সুস্থ্ থাকুন আপনার শিশুটিকেও সুস্থ্ রাখুন।

Comments

comments