চোখে ছানি পড়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?
পৃথিবীব্যাপী অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ছানি একটি। চোখের ছানি একটি প্রচলিত সমস্যা। ক্যামেরাতে যেমন লেন্স থাকে, তেমনি চোখের ভিতরেও একটি স্বচ্ছ লেন্স থাকে। যদি কোন কারনে এই স্বচ্ছ লেন্সটি অস্বচ্ছ হয়ে যায়, তখন তাকে ছানি বলে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ক্যাটারেক্ট (CATARACT)।
চোখে ছানি পড়া বয়স্কদের মধ্যে বেশ সাধারণ একটি রোগ। চক্ষু হাসপাতালগুলোতে গেলে চোখের সমস্যায় আগত যত বয়স্ক রোগী দেখা যায় তার মধ্যে বেশিরভাগই চোখের ছানির সমস্যার সমাধানের জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকেন।
আমাদের অনেক বয়স্ক আত্মীয়-স্বজনের ক্ষেত্রেই বয়সের বাড়ার সাথে চোখের লেন্স ঘোলাটে বা সাদা ধরণের হয়ে যায়। ফলে তারা চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন বা চোখের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। একেই চোখে ছানি পড়া বলে। সাধারণত বয়স ৪০ এর বেশি হলেই এই সমস্যা শুরু হয়।
লক্ষণ এবং রিস্ক ফ্যাক্টর
কিছু লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবে পারবেন যে চোখে ছানি পড়েছে। যেমন- চোখে ঝাপসা দেখা, লেন্সের রঙ ঘোলা হয়ে যাওয়া, একটা জিনিস দুইটা দেখা, অন্ধকারে কম দেখা, রঙের বোধ কমে যাওয়া।
চোখে ছানি পড়ার প্রধান কারণ বয়সের সাথে সাথে লেন্সের উপাদান প্রোটিনের গঠন নষ্ট হয়ে যাওয়া। এছাড়াও আরও যেসব কারণে চোখে ছানি পড়তে পারে সেগুলো হলো-
কিছু নির্দিষ্ট রোগ যেমন, ডায়াবেটিস
চোখের দীর্ঘমেয়াদী ইনফেকশন বা ইনফ্লামেশন
বংশগত
অতিরিক্ত তাপ, দীর্ঘ সময় রোদে কাজ করার ফলে সূর্যের ইউভি রশ্মির প্রভাবে
দীর্ঘ সময় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনে।
ধূমপান
চোখে আঘাত
দীর্ঘ সময় ধরে খুব বেশি মাত্রায় ক্ষীণদৃষ্টির (মায়োপিয়া) সমস্যা থাকলে।
চোখে ছানির চিকিৎসা না করলে গ্লুকোমা, দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি সহ বিভিন্ন ধরণের জটিল সমস্যা হতে পারে। অথচ ছোট একটি এক ঘন্টার অপারেশনের মাধ্যমেই চোখে ছানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য চোখে ছানি পড়লে দেরি না করে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।