মাথা ভার হয়ে আছে আপনার?
চলে এলো শীত। শীতের এই আবহাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। না তেমন কিছুনা, ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই ধরুন শরীরে একটু ব্যথা অনুভব হবে। মাথাটা একটু ভার ভার লাগবে। মনে হয় ঘারে ধরে আছে। মাথা ব্যথা, সর্দি, কাশি। এর নাম হেড কোল্ড।
আমাদের ব্যস্ত জীবনে এই ছোট খাটো অসুখগুলো বেশ ভোগায়। এই উপসর্গগুলোর ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের উপায়গুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
লাল চা পান
ঠাণ্ডায় চিকেন স্যুপ খেলে বেশ আরাম পাওয়া যায় তবে তা আপনাকে সর্দি বা মাথা ভার থেকে মুক্তি দেয় না। এ জন্য আপনি লাল বা লিকার চা পান করতে পারেন। সঙ্গে একটু মধু, লেবুর রস এবং আদা ছেঁচে বা কুচি করে দিতে পারেন। মধু গলায় কফ জমতে দেয় না, লেবু এক ধরনের অ্যান্টিসেপ্টিক প্রোপার্টি যা আপনার ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং আদা গলা পরিষ্কার করে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
মাথা ভার হওয়া কমানোর জন্য আপনার দরকার পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অন্যান্য ঘরোয়া উপায়ের সঙ্গে আপনার পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া দরকার। তা না হলে বাইরের বাতাসে থাকা বিভিন্ন জীবাণু আপনার সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকা
ঠাণ্ডায় সর্দি, মাথাব্যাথা বা মাথা ভার হওয়া থেকে মুক্তির সব থেকে বড় উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। আপনি অন্যান্য সময়ে যে পরিমাণ পানি করে থাকেন এই সময়ে তার থেকে বেশি পানি পান করুন। ফলের রস খেতে পারেন। এতেও পানির ঘাটতি পূরণ হয়। আর টক জাতীয় ফলের রস আপনার ঠাণ্ডা ভাব কমাতে সাহায্য করে। তবে অ্যালকোহল, ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করে তোলে।
লবণ পানির গড়গড়া
হেড কোল্ড থেকে মুক্তির জন্য বাড়ির বড়রা বলে থাকেন লবণ পানির গড়গড়া করতে। হ্যাঁ, এটা সত্যিই খুব উপকারী। হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলার প্রদাহ কমে যায় এবং এটি রক্ত সঞ্চালনেও সহায়তা করে। অতি প্রাচীন যুগ থেকেই মিশরে নানা রোগের চিকিৎসায় লবণ ব্যবহারিত হয়ে আসছে।
ময়েশ্চার
শুষ্ক বাতাসে থাকলে আপনার ঠাণ্ডা সর্দি বা মাথা বেশি ভার লাগতে পারে। তাই অন্য ঘরোয়া উপায়ের সঙ্গে আপনি আপনার ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। হিউমিডিফায়ার এমন একটি ডিভাইস যা আপনার ঘরের বায়ুকে ময়েস্ট করে এবং আপনাকে পর্যাপ্ত ময়েশ্চার গ্রহণে সহায়তা করে।
মেনথলেটেড মলম বা ক্রিম
অনেকে বিশ্বাস করেন যে, মাথা ভার হওয়া বা ঠাণ্ডা হওয়া থেকে মুক্তির বড় উপায় হল মেনথলের ব্যবহার। আঠারো শতাব্দীতে ঠান্ডার বিপরীতে এই মেনথলের ব্যবহার শুরু হয়। মেনথল একটি বিশেষ ধরনের গন্ধ যা নাকে সর্দি জমাট বাঁধা বা মাথা ভার রোধ করে। এটি মূলত কপালে বা বুকে লাগালে বেশ আরাম পাওয়া যায়।