ত্রিশ পেরোনো নারী ও পুরুষ…
সময়ের পরিক্রমায় বয়স বৃদ্ধির প্ররোচনায় বদলে যায়া খাবারের অভ্যাস আর রুচি। বয়স যখন ত্রিশের কোঠায় তখন আর আগের মতো পুষ্টিচাহিদা থাকে না, বরং চাহিদার মানটা বাড়তেই থাকে। তাই যা ইচ্ছা তাই ভক্ষণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
ত্রিশ পার হওয়া নারীদের খাবারদাবার কেমন হবে, সে বিষয়ে পুষ্টি কর্মকর্তারা বলেন, ‘এখন অধিকাংশ মেয়ে মা হচ্ছে ত্রিশের পর। তাই আমরা যদি ৩০ বছরটাকে দুটি অংশে ভাগ করি, তাহলে একটা হচ্ছে মা হওয়ার আগের অংশ, আর একটা মা হওয়ার পরের অংশ। মা হওয়ার আগের অংশে ৩০ পার হওয়া প্রতিটি মেয়েকে প্রয়োজনীয় সব খাবার খেতে হবে। তাঁর যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া বা এ ধরনের অসুখ থাকে, তাহলে তাঁকে প্রচুর হিসাব করে খেতে হবে। মায়ের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে আগের থেকে বেশি ক্যালরি নিতে হবে, বেশি হলে ক্যালরি কমিয়ে তারপর বাচ্চা নিতে হবে।’
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশযুক্ত খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদির ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে! আর যদি সন্তান হওয়ার পরের অংশটা নিয়ে ভাবা যায়, তাহলে একজন মেয়ের বাচ্চা হওয়ার পর কিন্তু তার শরীর দুর্বল হওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে পারে। বাচ্চা সামলানো, কাজ করা, সংসারের দেখাশোনা করার মতো কাজে মায়ের কিন্তু প্রচুর পরিশ্রমও হচ্ছে। তাই মা যদি ঠিকমতো খাবার না খান, তাহলে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের ঝামেলা হতে পারে। সে সময় মাকে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল—এসব খেতেই হবে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের ফলমূল, শাকসবজিও খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
৩০ পার হওয়া পুরুষের ব্যাপারে তারা বলেন, সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সে ছেলেরা সব থেকে বেশি পরিশ্রম করে। এ সময় সবারই চাই কিছু বাড়তি সচেতনতা। পরিমিত খাবার না খেলে বা প্রয়োজনের বেশি খেলে নানা ধরনের অসুখের ঝুঁকি থাকে। তাই ৩০ পেরোনো পুরুষের শুধু পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখলেই চলবে না, শারীরিক পরিশ্রম আর স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।