৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

দিনরাত স্মার্টফোনে ব্যস্ত, ১০ রকমভাবে ক্ষতি হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্যের

বাড়ির মানুষগুলোর সঙ্গে দু’দণ্ড কথা বলার ফুরসত নেই। ফুরসত নেই কাছের মানুষকে সময় দেওয়ার। দেদার আড্ডার চল এখন চলে গেছে। কেননা, আমরা সকলেই এখন যন্ত্রের দাস। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, আমরা ততই জড়িয়ে পড়ছি সেই জালে। প্রযুক্তি গ্রাস করছে আমাদের সবটুকু। ফুরিয়ে যাচ্ছে চিন্তাশক্তি, ফুরিয়ে যাচ্ছে সৃজনশীলতা। দিনরাত, রাতদিন শুধু মাথা গুঁজে আছি ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ, টুইটার, টিন্ডারে। ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ না ফুরিয়ে যায়, হাল ছাড়ি না আমরা। একবার স্বামী বিবেকানন্দকে জিজ্ঞেস করা হয়, বিষ কী? উত্তরে স্বামীজি বলেন, যা কিছু অতিরিক্ত তাই বিষ। সেই কথা প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও সত্যি। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার আসলে বিষ পানের সমতুল। বিশেষজ্ঞদের মত, এতে ১০ রকমের ক্ষতি হয় শরীরমনের।

১]চোখের বারোটা বেজে তেরোটা
দিনে টানা ৮ ঘণ্টা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে চেয়ে কাজ করেন যাঁরা, অ্যান্টিগ্লেয়ার গ্লাসযুক্ত চশমা পরার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে নির্গত রশ্মি চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। ঠিক একই ভাবে স্মার্টফোন থেকে বেরোনো রশ্মি ড্রাই আই (চোখের রস শুকিয়ে যাওয়া), মাথা যন্ত্রণা, ঝাপসা দৃষ্টি ও চোখের ক্লান্তির কারণ। এর জন্য স্মার্টফোনের ব্যবহার কমাতে হবে। বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে। আর অ্যান্টিগ্লেয়ার চশমা পরে স্মার্টফোনে কাজ করতে হবে।

২]হতাশার অন্যতম কারণ
সোশাল মিডিয়া আমাদের অনেকভাবে ক্ষতি করে। এটি হিনমন্যতার কারণ হতে পারে। আর স্মার্টফোন হওয়ার কারণে সোশাল মিডিয়ায় থাকার সময় সীমাও বেড়েছে দ্বিগুণ। ফেসবুকের মতো সোশাল মিডিয়ায় অনেকে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার, দামি রেস্তরাঁয় খাওয়ার, বিয়ের ছবির পোস্ট করে। ফোটোতে লাইক আসে প্রচুর। কিন্তু বাকিদের কাছে তা হিনমন্যতার কারণ হয়ে যায়। শো-অফের একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে সোশাল মিডিয়া। অনেকে শুধু ফোটো পোস্ট করার জন্য টাকাপয়সা খরচ করে ফেলে।

৩]নোমোফোবিয়া হতে পারে
সারাক্ষণ স্মার্টফোনে সময় কাটানোর কারণে সেটির প্রতি নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। ফলত, ফোন ছেড়ে থাকার কথা মাথাতেও আসে না। কোনও কারণে ফোনটি নজরের আড়াল হলে আতঙ্কিত হয় মানুষ। এই রোগকে মনস্তাত্বিক ভাষায় বলা হয় নোমোফোবিয়া।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

৪]রিংজ়ায়েটি বা ফ্যান্টম পকেট ভাইব্রেশন সিনড্রোম হওয়ার কারণ
আপনার কি মাঝেমধ্যেই মনে হয় ফোনটা বেজে উঠল কিংবা ভাইব্রেট করল? কিন্তু পরে দেখলেন কোনও ফোনই আসেনি। এটিকে বলা হয় রিংজ়ায়েটি বা ফ্যান্টম পকেট ভাইব্রেশন সিনড্রোম। এর থেকে দূরে থাকতে প্রথমেই নিজের ফোনের রিংটোন পালটে ফেলুন। স্মার্টফোনের ব্যবহার কমান।

৫]স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে পারে
একটা সময় ছিল সকলের ফোন নম্বর মনে থাকত। কোনও কিছুই নোট করে রাখতে হত না। এখন ব্যাপারটা ঠিক উলটো। কেউ নিজের ফোন নম্বরই মনে রাখে না। স্মার্টফোন সবকিছু সেভ করা যায় বলে অনেককিছুই মনে রাখে না মানুষ। এতে ক্ষতি হয় স্বাভাবিক স্মৃতিশক্তির।

৬]ওজন বাড়ায়
খেতে বসেও অনেকে স্মার্টফোনে খুটুরখুটুর করে। এতে খাওয়া থেকে মন সরে যায়। ফলে বেশি খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় সেই থেকেও।

৭]সামাজিকতা নষ্ট হয়
একটা সময় ছিল সন্ধে না হতেই পাড়ায় পাড়ায় আড্ডার একটা চল ছিল, ছোটোরা মাঠে গিয়ে খেলত। কিন্তু এখন সেটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এক খাবার টেবিলে বসেও পরিবারের লোকেরা একে অপরের সঙ্গে গল্প করে না। ব্যস্ত থাকে মোবাইল ফোনে। ফলত, একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করার ফুসরত থাকে না। বাড়ির মধ্যেই যদি এমন চিত্র হয়, বাড়ির বাইরে কি হাল বুঝতেই পারছেন?

৮]ইংরেজি খারাপ হয়ে যায়, মুখের ভাষাও নষ্ট
স্কুল-কলেজে যে ইংরেজি আমরা শিখি, নেট দুনিয়ার সেই ইংরেজি অনেকটাই আলাদা। এখন শর্ট ফর্মে ইংরেজি লেখার চল। স্মার্টফোন সারাক্ষণ সময় কাটানো আর দুর্বল ইংরেজিতে টাইপ করার কারণে শুদ্ধ ইংরেজিটাই ভুলে যাই আমরা।

৯]ঘুমের সর্বনাশ
রাতে ঘুমের সময় ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করেন যাঁরা, তাঁদের অধিকাংশেরই ঘুমের সমস্যা। এর কারণ মোবাইল থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে গোলমাল তৈরি করে। মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভালো ঘুম হয়।

১০]ঘাড়ে ও গলায় ব্যথা
সারাক্ষণ ঘাড় ঝুঁকিয়ে স্মার্টফোনে মেতে থাকলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ঘাড়ে ও গলায়। কাঁধেও যন্ত্রণা হতে পারে। শিরদাঁড়া বেঁকে যেতে পারে। হতে পারে স্পন্ডিলোসিসও।

Comments

comments