৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

গুরুতর একজিমায় আক্রান্তদের জন্য নতুন আশার আলো

প্রদাহজনিত এই চর্মরোগটির চিকিৎসা ঐতিহাসিকভাবেই একটু কঠিন ছিল। কারণ এর চিকিৎসায় বাজারে যেসব ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলো তেমন একটা কার্যকর নয়। বিশেষ করে মাঝারি বা তীব্র একজিমার ক্ষেত্রে তা একদমই কার্যকর নয়।
এ ছাড়া বাজারে যেসব ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলোর মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যেগুলো আবার বিষাক্তও হতে পারে।

এখন অবশ্য ডুপিলুম্যাব নামের একটি নতুন ওষুধ চলমান পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেশ কার্যকারিতা প্রদর্শন করছে। ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৮ শতাংশ লোক তাদের ত্বকে প্রদাহজনিত লাল ও আঁশযুক্ত ক্ষতগুলো থেকে মুক্তিলাভ করেছেন। ১৬ সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। ক্ষত ও র‌্যাশ দূর এবং মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ ও জীবনমানের পরিস্থিতির উন্নয়নেও এই চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
ওষুধটি ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজে নিজেই দেহে প্রয়োগ করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) একে একটি যুগান্তকারী চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যার মানে হলো, সরকারের অনুমোদনের জন্য এটি এখন প্রথম সারিতে অপেক্ষায় রয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের তিন শতাংশই মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার একজিমায় আক্রান্ত এবং এ থেকে মুক্তির জন্য তাদের পদ্ধতিগত চিকিৎসাও দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একজিমা অ্যাসোসিয়েশনও তেমনটাই জানিয়েছে।

আর একজিমার যেহেতু নির্ভরযোগ্যভাবে নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং কার্যকর কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নেই সেহেতু ডুপিলুম্যাব এর মতো ওষুধের বিশাল প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যদি এটি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়।

ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. এরিক সিম্পসন বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই এফডিএ ওষুধটি বাজারজাতকরণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। যদি ওষুধটি অনুমোদন পায় তাহলে স্যানোফি ও রিজেনারোন এর তৈরি ওষুধটি এর পরপরই বাজারে পাওয়া যাবে।

কতটা দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয় এই প্রক্রিয়া? সাধারণত একটি নতুন ওষুধের অনুমোদন পেতে দুই বছর সময় লাগে। তৃতীয় পর্যায়ের সফল পরীক্ষার পর থেকে শুরু করে ওই সময় লাগে।

Comments

comments