মেদ নয়, আপনার ভুঁড়ির কারণ অন্য। পেট ও কোমর সরু করতে করুন এই ৫টি সহজ কাজ
ডায়েট কন্ট্রোল বা ব্যায়ামের পরেও কেন কমতে চায় না আপনার পেটের আয়তন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে বর্ধিত ভুঁড়ি বা বর্ধিত পেটের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। অনেকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য নেন ডায়টেশিয়ানের, ভর্তি হন জিমে। কিন্তু তাতেও ফল মেলে না তেমন। কিন্তু ডায়েট কন্ট্রোল বা ব্যায়ামের পরেও কেন কমতে চায় না আপনার পেটের আয়তন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে বর্ধিত পেটের একমাত্র কারণ চর্বি বা মেদ নয়। নানা কারণে পেট ফুলে থাকতে পারে, যার ফলে বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে যে ভুঁড়ি হয়েছে। তেমনটা হলে ব্যায়াম করেও মিলবে না তেমন সুফল। তাহলে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে পেটের ফোলাভাব থেকে? জার্নাল অফ মেডিকাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাটলান্টা জানাচ্ছে ফোলা পেটের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
এই জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হচ্ছে, প্রধানত ৫টি কারণে পেট ফুলে থাকতে পারে। সেই কারণগুলিকে দূর করতে পারলেই পেটের ফোলাভাব দূর হবে।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
কী কী কারণ সেগুলি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. জল কম খাওয়া: অনেকে স্বাভাবিকভাবেই জল কম খান। আবার অনেকের অভ্যেস থাকে জল তেষ্টা পেলে কোল্ড ড্রিংক, কিংবা কফি খেয়ে তেষ্টা মেটানো। এইভাবে শরীরে যে জলাভাব ঘটে তার পরিণামে শরীরের বিভিন্ন ট্যিসু তাদের অভ্যন্তরস্থ জলীয় উপাদান নিজেদের মধ্যে সঞ্চিত করে রাখে। তার ফলে কোষগুলি ফুলে য়ায় আয়তনে, এবং পেটকেও ফোলা লাগে। কাজেই পরিমাণমতো জল খান।
২. মানসিক উদ্বেগ: মানসিক উদ্বেগ বা স্ট্রেস নানাভাবে ক্ষতি করে শরীরের। দেখা গিয়েছে, যাঁরা স্ট্রেসে ভোগেন, তাঁদের পরিপাক যন্ত্র যথাযথ কাজ করে না। ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়, এবং সেই গ্যাস পেটে আবদ্ধ হয়ে থাকে। ফলে ফুলে থাকে পেট। কাজেই স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত ধ্যান বা প্রাণায়াম করুন।
আরও পড়ুন
মাত্র পাঁচদিনের ডায়েট! ঝরিয়ে ফেলুন বাড়তি মেদ…
একটি বিশেষ কায়দায় পেটের উপর মাত্র দু’মিনিটের মাসাজ! তাতেই কমবে পেটের চর্বি
গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে কি সত্যিই মোটা হয়ে যান মহিলারা?
৩. খাবার ঠিকমতো না চিবনো: খাওয়ার সময় খাবার ঠিকমতো না চিবিয়ে গিলে নিলে তা হজম হতে সময় লাগে, পরিপাক প্রক্রিয়াও মন্থর হয়ে আসে। পরিণামে পেট ফুলে যায়। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময়ে ভাল করে চিবিয়ে তবেই তা গিলুন। সাধারণভাবে ডাক্তাররা মনে করেন, খাবার মুখে দিয়ে ২০ বার চিবনোর পরে তা গলায় চালান করাই স্বাস্থ্যসম্মত।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাঁদের পেটেও গ্যাস উৎপাদিত হয়, এবং তা পেটেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। যার ফলে পেট ক্রমশ ফুলতে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর ফাইবার যুক্ত খাবার খান, দৈনিক কিছু হালকা এক্সারসাইজ করুন। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের সাহায্য নিন।
৫. কোল্ড ড্রিংক: খেতে যতই ভাল লাগুক না কেন, কোল্ড ড্রিংক বা সোডার মতো কার্বোনেটেড পানীয় পেট ফুলে যাওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কাজেই যদি আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হতে চান, তাহলে কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন।